জামালপুরে এপি কর্মীদের পাঁচদিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

জামালপুরে এপি কর্মীদের মৌলিক প্রশিক্ষণে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। ৭ নভেম্বর কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জামালপুরের ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ এবং পারি ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট এর কর্মীদের পাঁচদিনব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। মূখ্য আলোচক ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক রাজু উইলিয়াম রোজারিও।

জামালপুর শহরের আবেদন চকে অবস্থিত হোটেল রওশনের সভাকক্ষে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল, ওয়ার্ল্ড ভিশন এপির স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও ওয়াস বিষয়ক কারিগরী ব্যবস্থাপক চিকিৎসক জয়ন্ত কুমার নাথ, ইসলামপুর এপি ব্যবস্থাপক সজল গমেজ, জামালপুর এপি ব্যবস্থাপক সাগর ডি কস্তা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন।

জামালপুরে এপি কর্মীদের মৌলিক প্রশিক্ষণে মূখ্য আলোচক ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক রাজু উইলিয়াম রোজারিও। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সভাসূত্র জানায়, উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার ল²ীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ১৯ হাজার ৪৮৬ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামপুর উপজেলায় পারি ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইসলামপুর সদর, সাপধরী ও চিনাডুলি ইউনিয়নের ৩৩টি গ্রামে ১৮ হাজার ৩৩০ জন উপকারভোগী নিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং ও জাপান।