শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে পিতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে জাতিকে নেতৃত্ব দিতেন : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

শেখ রাসেল দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ হয়ত বঙ্গবন্ধুর মতই বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেন, বিশ্বের শোষিত মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতেন, নেতৃত্ব দিতেন বাবার উত্তরসূরী হিসেবে। অথবা বাবার দেওয়া নামের সাক্ষর রাখতেন নিজ জ্ঞানে আর বিদ্যায়।

প্রতিমন্ত্রী ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। নিষ্পাপ শিশু রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে মানুষরূপী দানবেরা সারা পৃথিবীর সকল শিশুকে হত্যা করেছিল।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুনিরা জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরিরা একদিন লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। যার জ্বলন্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি তার সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুনিরা কী করে পারল শেখ রাসেলকে হত্যা করতে? খুনিরা কীভাবে গুলি করেছিল শেখ রাসেলকে? ছোট্ট রাসেলের কান্নায় একবার মায়া হয়নি তাদের? খুনিরা তো এই সমাজেরই লোক ছিল। তাদেরও তো পরিবার ছিল, সন্তান ছিল। রাসেলের মত সন্তান তাদের ঘরেও ছিল।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো সভ্য দেশে হত্যার বিচার হতে পারবে না- এমন জঘন্যতম আইন পাশ হতে পারেনা। কিন্তু কি অদ্ভুত, এই আইনটি সেদিন বাংলাদেশে পাশ হয়েছিল! বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা বেঁচে ছিলেন বলেই আমরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার পেয়েছি। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলের জন্মদিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা পবিত্র সংসদে যারা ‘ইনডেমনিটি’ আইন পাশ করেছিল, যারা এই আইনকে সমর্থন করেছিল এবং যারা ইতিহাস বিকৃত করেছিল তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের চিহ্নিত শত্রু। তাদের বিচারের ব্যবস্থা করে আইনের শাসন ও ন্যায্য বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল আওয়াল হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং আওতাধীন দপ্তর/ সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।