আমাদের একজন গর্ব করার মতো শেখ হাসিনা আছেন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই গর্ব করার মতো অনেক স্থান, স্থাপনা রয়েছে। তবে আমাদের একজন গর্ব করার মতো শেখ হাসিনা আছেন।

তিনি বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে কেউ যখন প্রশ্ন করেন যে, তোমাদের গর্ব করার মতো কি আছে। মাথা উঁচু করে বলি বাঙালি জাতির গর্ব করার মতো আছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীন বাংলাদেশের বিকল্প শব্দ হচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের যে কোনো সাধারণ মানুষকেও এখন জিজ্ঞাসা করা হলে সেও বলবে শেখ হাসিনা তাদের গর্ব। বাংলাদেশে বর্তমানে গর্ব করার মতো বিকল্প শব্দ হচ্ছে শেখ হাসিনা।’

৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বিডি সমাচার ২৪ ডটকম’ এর ৩য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, সরকার বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী তাইতো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অনলাইন পোর্টালের বিকাশ ও বিস্তার সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় এগিয়ে নিতে তরুণরাই শক্তি। আজকের তরুণদের হাত ধরেই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জাতিকে সঠিক তথ্য সেবা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ভয়াবহ করোনার সময় মিডিয়া কর্মীরা যেভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন জাতি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের কল্যাণে সবকিছুই করবেন। তাঁর পক্ষেই সম্ভব, না চাইতে তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ এদেশের দেশ প্রেমিক মানুষের দল। আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। এদেশে হত্যার রাজনীতির গুরু জিয়া। এই জিয়াই পনের আগষ্ট ঘটনার খলনায়ক; আর তার পরিনতি হত্যাকারী হত্যার শিকার। জিয়া হত্যায় লাভবান হয়েছেন খালেদা জিয়া, জিয়া হত্যা না হলে খালেদা প্রধানমন্ত্রী নয়, হতেন এফডিসির নায়িকা। জিয়া পরিবার হত্যা দূর্নীতির ইতিহাস ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে; তাদের ঘৃণ্য চেহারা উন্মোচন করতে হবে। জিয়ার মরনোত্তর বিচার বাংলার মাটিতে হবেই এই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী এসময় আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সজ্জন, সৎ, নির্লোভ রাজনীতিবিদ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী’র উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তোমরা সৈয়দ আশরাফের মতো হও।

এ সময় তিনি শেখ রাসেল এর কথাও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলে, তিনি আজ বেঁচে থাকলে কেমন হতো বাংলাদেশ? তিনি যদি আমাদের নেতা হতেন বাংলাদেশ এখন কোন অবস্থানে থাকতো? বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন বিশ্বে আর কোনো নেতা তাঁকে অতিক্রম করে বিশ্ব নেতা হতে পারতো না।

ক্লিনফিড চ্যানেল এর ব্যাপারে সম্প্রতি সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রশংসা করে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, জেনেশুনে বুঝে এই পেশায় আসবেন। অনলাইন গণমাধ্যমের জবাবদিহিতার যায়গাটুকু সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। গণমাধ্যমের মূলধন হচ্ছে বিশ্বাস ও আস্থা। এখন গণমাধ্যমের সময় হচ্ছে আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা, সততার। গণমাধ্যম এই জায়গা পূরণ করতে পারছে কিনা তা ভাববার বিষয়। আপনি যদি সফল হোন তাহলে আপনার ছেঁড়া গেঞ্জিটাও ইতিহাস আর সফল না হলে আপনার স্যুট কোটও উপহাস।

বিডিসমাচার২৪ডটকম এর সম্পাদক মো মহসিন হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিডিসমাচার এর আইন বিষয়ক সম্পাদক ড. কামরুল হাসান ও সহ-সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজান মালিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য খায়রুল আলম সাগর, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রব্বানী এবং ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাসেল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ।