বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা পিয়ংইয়ংয়ের

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ পিয়ংইয়ং বিমান বিধ্বংসী নতুন আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। পরমাণু ক্ষমতাধর এ দেশের একের পর এক অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে এটি ছিল তাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ। ১ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।

সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) পরিবেশিত খবরে বলা হয়, এ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের ‘যুদ্ধ ক্ষমতা অসাধারণ’ এবং এটির দু’টি রাডার কন্ট্রোল ও আরো অনেক নতুন প্রযুক্তি রয়েছে।’

সরকারি রোদং সিনমুন সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবিতে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে আকাশ অভিমুখে উর্ধগামী হতে দেখা যাচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বর এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। পিয়ংইয়ংয়ের উত্তেজনা বৃদ্ধিমূলক ধারাবাহিক বিভিন্ন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে তাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ।

সেপ্টেম্বরে তারা দূর পাল্লার একটি ক্রূজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর কথা জানায় এবং এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে পিয়ংইয়ং একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের দাবি করে। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, এটি তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন কোন পূর্ব শর্ত ছাড়াই ওয়াশিংটনের ফের আলোচনার প্রস্তাবকে একটি ‘প্রতারণাপূর্ণ কৌশল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তিনি দেশটির পূর্বসুরিদের ‘শত্রুতাপূর্ণ নীতি’ অব্যাহত রাখায় বাইডেন প্রশাসনকে অভিযুক্ত করেন।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এএফপি’কে বলেছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ব্যাপারে কিছু জানাতে অপারগ।

ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় আকারে অনেক ছোট বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের আওতায় উত্তর কোরিয়ার তা তৈরি করা নিষিদ্ধ।