বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রবীণদেরকে অবহেলা নয় বিগত দিনের কর্মকান্ডের কথা স্মরণ করে তাদেরকে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেত হবে।
মন্ত্রী ১ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে ৩১তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন- সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
মন্ত্রী বলেন, আজকে যারা প্রবীণ বিগত দিনে তারা ছিলেন নবীন। আজকের এ প্রবীণরা অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ । দেশ ও জাতির কল্যাণে তাদের যে কর্মকান্ড ছিলো সেগুলো ছিলো সম্মানের ।
মন্ত্রী প্রবীণদের উদ্দেশ্যে বলেন, অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে আপনারা যে ভূমিকা রেখেছিলেন, দেশ ও জাতি আপনাদের কথা স্মরণ রাখবে। প্রবীণদের কর্মকান্ডের ধারাকে অটুট রাখার জন্য নবীনদের প্রতি মন্ত্রী আহবান জানিয়ে বলেন, প্রবীণদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ যে কর্মকান্ড দেশে সূচিত হয়েছে সে কর্মকান্ডগুলো নবীনদেরকে বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরে যে সরকারগুলি দেশ পরিচালনায় এসেছিলো তারা কোনদিনও প্রবীণদের কথা চিন্তা করেনি। প্রবীণদের জন্য বিগত দিনের সরকারেরা কোন কর্মকান্ড চালু করতে সক্ষম হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে প্রবীণদের জন্য সফলভাবে কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন, তার সুফল প্রবীণরা ভোগ করছেন।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজের প্রতিটি মানুষের গুণগত মান নিশ্চিত করা সরকারের অঙ্গীকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তার আওতা ব্যাপক বিস্তৃত করেছেন। প্রবীণদের গুণগত জীবনমান নিশ্চিতে বিভিন্ন নীতিমালার পাশাপাশি বিশেষ প্রতিষ্ঠান তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হিসেবে ডিজিটাল সমতার বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রবীণদের সমতার বিষয়টি সাধারণভাবে স্বীকৃত হতে হবে তাহলেই কেবল ডিজিটাল সমতা নিশ্চিত করা যাবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি।
উল্লেখ্য, আলোচনা সভায় জানানো হয়, প্রবীণদের কল্যাণে শিগগিরই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় জাতীয় প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হবে, এ লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রবীণদের জন্য দেশের ৮টি বিভাগে ৮টি সরকারী শিশু পরিবারে ২৫ আসন বিশিষ্ট শান্তি নিবাস স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে বলে আলোচনা সভায় জানানো হয়।সূত্র:বাসস।
বাংলার চিঠি ডেস্ক : 



















