মাদারগঞ্জে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন

মাদারগঞ্জে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকাবাসী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আলী আকবর, নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় মুক্তার আলী হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ২৪ আগস্ট দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বালিজুড়ি বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ১৬ জুলাই বলখেলা দেখে বাড়ি ফেরার সময় কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে হত্যা করে চর গোপালপুরের সাদেক আলীর ছেলে কৃষক মুক্তার আলীকে। এ ঘটনায় মুক্তার আলীর ভাই বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ থানায় ১৩ জনের নামে ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও অন্যরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

মাদারগঞ্জে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মামলার বাদী নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলীর অভিযোগ, মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিদের মাঝে নাহিদুল নামে নামে একজন পুলিশ কনস্টেবল আছেন। ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় কর্মরত নাহিদুল ঘটনার দিন ছুটিতে গ্রামের বাড়ি চর গোপালপুরে ছিলেন এবং প্রতিপক্ষের সাথে নেতৃত্ব দেন।

অবিলম্বে সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার হুমকী দিয়েছে চর গোপালপুরবাসী।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাদারগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুর রহমান বেলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান রহমত উল্লাহ রিমু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফরিদুল হক ও নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলী।

মাদারগঞ্জে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোন সময় সব আসামি গ্রেপ্তার হবে। অজ্ঞাত আসামির তালিকায় একজন পুলিশ কনস্টেবল প্রসঙ্গে বলেন, নাহিদ নামে পুলিশের ওই কনস্টেবল ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন ঠিক, কিন্তু ঘটনার আগেই তিনি ভালুকায় চলে গেছেন। হত্যাকাণ্ডের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলা হচ্ছে তা ষড়যন্ত্রমূলক বলেও দাবি করেন ওসি মাহবুবুর রহমান।