জামালপুরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য জিলা স্কুল মাঠে হেরিটেজের বিলবোর্ড স্থাপন

জামালপুরে বাংলাদেশ হেরিটেজ স্টাডি এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণস্থল জিলা স্কুল মাঠে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণ ভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশ হেরিটেজ স্টাডি এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থান জামালপুর জিল স্কুল মাঠকে স্মরণীয় করে রাখতে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। ১৯ জুলাই জিলা স্কুল সংলগ্ন সড়কে বিলবোর্ড স্থাপন উদ্বোধন করেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু। বিলবোর্ড স্থাপন কাজ বাস্তবায়ন করে জামালপুর সড়ক বিভাগ।

বাংলাদেশ হেরিটেজ স্টাডি এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন জামালপুর জেলা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকর্তা মু. আবু সায়েম চৌধুরী, জামালপুর সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, নাট্যসংগঠক সাগর মুখার্জি এবং জামালপুর পৌরসভার কাউন্সিলরগণ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হেরিটেজ স্টাডি এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্বাধীন।

উল্লেখ যে, স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর মহকুমা শহরে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে নির্ধারিত জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানের প্রত্যক্ষদর্শী এবং সভাতে ‘মুজিব বাইয়া যাওরে’ গান পরিবেশনকারী শিল্পী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এই প্রতিনিধিকে জানান, জামালপুরের ইতিহাসে এত বিশাল জনসমাবেশ এর আগে বা পরে জেলাবাসী কখনই দেখেনি। জনসমুদ্র পরিণত হওয়া পরিবেশ দেখে বঙ্গবন্ধু ভীষণভাবে আবেগপ্রবণ হন বলে তিনি জানান। ভীড়ের চাপে এবং ঘরের চাল ভেঙে অনেকেই আহত হন বলে সিরাজ চৌধুরী উল্লেখ করেন। সেই ঐতিহাসিক ঘটনা নতুন প্রজন্মের কাজে তুলে ধরার লক্ষ্যে হেরিটেজ ফাউন্ডেশন বিলবোর্ড স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এছাড়া বৃটিশ আমল থেকে এই মাঠে পাবলিক মেলা চলে আসছিলো। এ ঘটনাও বিলবোর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ হেরিটেজ স্টাডি এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন জামালপুরের ঐতিহাসিক ঘটনাবলী, ব্যক্তিত্ব, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা সংগ্রামসহ ইতিহাসের বর্ণিল বিষয়গুলো তুলে ধরে জেলায় ২০টি বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইতিমধ্যে উপজেলা ভিত্তিক পাঠাগার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব কমে আসলে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু হবে বলে ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়।