মির্জা আজমের প্রচেষ্টায় যমুনার মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি নৌপথে চালু হতে যাচ্ছে ফেরি চলাচল

::জাহিদুর রহমান উজ্জল::
শত বছরের স্বপ্ন পূরণ করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ আসন থেকে ৬ বারের সংসদ সদস্য মির্জা আজম। তাঁর প্রচেষ্টায় অবশেষে মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। এ পথ চালু করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের সরকারি দল নদী পথ পরিদর্শন করে সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই করছেন। এবার বর্ষা মৌসুমে এই পথ চালু হবে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে এই নৌপথে বিআইডাব্লিউটিএর কয়েকটি সী-ট্রাক চলাচল করবে। তা দিয়ে যাত্রী মালামাল ও হালকা যানবাহন পারাপার করতে পারবে। এই জনপদের উন্নয়নের কারিগর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী ও মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ আসন থেকে ৬ বারের এমপি মির্জা আজম এই নৌপথ চালুর প্রচেষ্টা করেন। তার উদ্যোগেই অতি স্বল্প সময়ে নৌপথ চালু করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানা গেছে।

গত কয়েকদিন আগে এই পথে ফেরি চালুর জন্য ফেরিঘাট নির্মাণ, সড়ক যোগাযোগ স্থাপন, নাব্যতা ফেরাতে নদী খননসহ নদী সংস্কার ও উন্নয়নকাজে প্রকল্প গ্রহণের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল ২৬ মে সারিয়াকান্দি ও মাদারগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেছে। জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডাব্লিউএম) দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল ফেরি চালুর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই করছেন।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন আইডাব্লিউএমের পরামর্শক মো. মহিউদ্দীন পাটোয়ারি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগে দূরত্ব কমাতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ হয়ে যমুনায় ফেরি সার্ভিস চালুর দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা চলছে। প্রথমে বাহাদুরাবাদ-গাইবান্ধার বালাসি নৌপথে ফেরি চালুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। পরে সেই পরিকল্পনা আর এগোয়নি। এখন নতুন করে মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি ১৬ কিলোমিটার নৌপথে ফেরি চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আইডাব্লিউএমের পরামর্শক মো. মহিউদ্দীন পাটোয়ারি বলেন, ‘দুই দিন ধরে আমরা নদীর দুই পারের মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছি কোন স্থানে ফেরিঘাট হলে নদীর নাব্যতা সারা বছর ঠিক থাকবে, যোগাযোগব্যবস্থা ও ঘাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং পণ্য পরিবহন সহজলভ্য হবে। সাধারণ মানুষের মতামতসহ কারিগরি নানা দিক বিবেচনা করে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন এখান থেকে ফিরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা দেবেন।

এই পথ চালু হলে রাজধানী ঢাকার সাথে বগুড়ার সড়ক পথে ৮০ কিলোমিটার দুরত্ব কমবে। সময় বাচবে কয়েক ঘন্টা।

জানা গেছে, এই নৌপথে প্রতিদিন শত শত যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চলাচল করে।