সরিষাবাড়ীতে বিরোধপূর্ণ জমিতে চলছে ভবন নির্মাণ
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া এলাকায় সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি-ভুয়াপুর প্রধান সড়কের পাশে ভবনটি নির্মাণ করছেন স্থানীয় বিসিআইসির ডিলার সিরাজুল ইসলাম। এদিকে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষকে নোটিশ দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু একপক্ষ নির্দেশ অমান্য করে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পাশেই ভবন নির্মাণের কাজ করলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পোগলদিঘা মৌজার বিআরএস ৯৪০ খতিয়ান নম্বরের বিআরএস ৫১৮০ দাগ নম্বরের ৬ শতাংশ জমি কান্দারপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. খোকন সরকার পৈতৃক সূত্রে ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি ওই জমি বিআরএস ৫১৮৬ দাগ নম্বর বলে দাবি করেন একই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ তরফদারের ছেলে বিসিআইসির ডিলার সিরাজুল ইসলাম। কাগজপত্র পর্যালোচনা করা দেখা গেছে, ৫১৮৬ দাগ নম্বরের জমিটি যমুনা সার কারখানার সড়কে অধিগ্রহণ করা। এদিকে ৫১৮০ নম্বরের জমিটি ৫১৮৬ নম্বর এবং তা নিজের দাবি করে সিরাজুল ইসলাম জোরপূর্বক বেদখলের চেষ্টা করলে খোকন সরকার জামালপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (যার নম্বর ৮৪/২০২১) দায়ের করেন। অপরদিকে সিরাজুল ইসলামও পৃথক মামলা দায়ের করলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. নাসরীন পারভীন গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিরোধপূর্ণ জমিতে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। একইসাথে আদালত ওই জমিতে সরিষাবাড়ী থানার ওসিকে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ও এসিল্যাণ্ডকে দখল-মালিকানা সম্পর্কিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী মো. খোকন সরকার অভিযোগ করেন, আদালতের নির্দেশে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ উভয়পক্ষকে নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে সিরাজুল ইসলাম বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের কাছেই ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে না, বরং প্রতিপক্ষকে দখলদার হিসেবে আদালতে প্রমাণের জন্য নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করছে বলেও তিনি জানান।
ভবন নির্মাণকারী সিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, এ জমিটি তারই। আদালত যখন প্রমাণ করার করবে, ততক্ষণ তো আর আমি কাজ বন্ধ রাখতে পারি না।
এ ব্যাপারে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে উভয়পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি। যে যার অবস্থানে ছিলো, সেভাবেই থাকবে। কেউ সেখানে নির্মাণ কাজ করলে পুলিশের কী করার আছে।