ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদারগঞ্জে পতিত জমিতে কৃষি কর্মকর্তার বিষমুক্ত সবজি বাগান মাদারগঞ্জে ফলিত পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু অভিজ্ঞতার গল্পগুলো মনের পুষ্টি যোগায় : কিশোরীদের সাথে মতবিনিময় সভায় ইউএনও জিন্নাত শহীদ পিংকী সরিষাবাড়ীতে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, থানায় অভিযোগ সুজন জামালপুর জেলা শাখার নতুন কমিটির সভাপতি অজয়, সাজ্জাদ সম্পাদক মাদারগঞ্জে কল প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে বেড়েছে চোরের উৎপাত মাচায় লাউ চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন মাদারগঞ্জের কৃষক এমদাদ জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন কাজে সাফল্যের পঞ্চম স্থানে জামালপুর জেলা রোগীদের পাশে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপিনেতা খালিদ হাসান

রাষ্ট্রপতির ভাষণ সরকারের গত এক যুগে সূচিত উন্নয়ন অগ্রগতির বাস্তব চিত্র : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ডা. মুরাদ হাসানে

তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মুরাদ হাসান

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেছেন, ভাষণে রাষ্ট্রপতি সরকারের গত এক যুগে সূচিত উন্নয়ন অগ্রগতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।

২৬ জানুয়ারি ছিল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার ষষ্ঠ দিন।

গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। গত ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন।

আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধিতে নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

আজ আলোচনায় অংশ নেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সরকারি দলের আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলাম, সুবিদ আলী ভুইয়া, এ বি তাজুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আবদুস সালাম মুর্শেদী, মঞ্জুর হোসেন, মো. সাইফুজ্জামান, মাজাহারুল হক প্রধান, কাজী নাবিল আহমেদ, এবং জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান ও বেগম রওশন আরা মান্নান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, সরকার দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিনত করতে রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ ঘোষণা করে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। এ জন্য ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ব-দ্বীপ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের ফলে অর্জিত সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল যোগ্যতা অর্জন করেছে। ঘোষিত নির্ধারিত সময়ে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে। আর ‘৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে।

তিনি বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, এ মহামারিতে যখন গোটা বিশ্ব পর্যদুস্ত তখন প্রধামন্ত্রীর বলিষ্ট ও দক্ষ নেতৃত্ব এবং সময়োপযোগি পদক্ষেপের ফলে দেশ আবার ঘুরে দাঁড়িছে।

তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় প্রশংসিত হয়েছে। এ জন্য বিশ্বে ৮ জন সফল নারী নেতৃত্বের তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া আমেরিকার সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্র্গের সমীক্ষায় বিশ্বের ১৮৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ করোনাকালের সাফল্যের দিক থেকে ২০তম স্থান অর্জন করে।

তিনি মুজিববর্ষে দেশে আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মুজিববর্ষে গৃহহীনের বাসস্থান নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসাবে ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ হাজার গৃহ গৃহহীনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ভাবে সব খাতেই ব্যাপক সাফল্য এসেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে শত বাধা আর পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবেলা করছে। করোনা মোকাবেলার এ সাফল্য আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

তিনি করোনাকালে জরুরী ভিত্তিতে তার মন্ত্রনালয় থেকে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে জনগণের জরুরী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস এ উত্তীর্ণ ২ হাজার অতিরিক্ত ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান ৪২তম বিসিএস এর মাধ্যমে আরো ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে।

এছাড়া তিনি বলেন, প্রশাসনের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এর গতিশীলতা বৃদ্ধি করে এটিকে সত্যিকারভাবে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি এ ব্যাপারে গত এক যুগে যে সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল করোনা টিকা নিয়ে বিভিন্ন অহেতুক প্রশ্ন তুলছেন। সরকার থেকে প্রথম থেকে বলা হয়েছে সঠিক সময়েই বাংলাদেশ টিকা পাবে। আর সে টিকা সঠিক সময়েই পাওয়া গেছে। এখন আবার দাম নিয়ে কথা প্রশ্ন তুলছেন। এটার জবাবও দেয়া হয়েছে। এ টিকা ভারত যে দামে ক্রয় করছে, বাংলাদেশও সে দামে ক্রয় করছে। তারা টিকা নিয়ে রাজনীতি না করার আহবান জানান।

তারা বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়ছে । আর আন্তর্জাতিকভাবে এটার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বিএনপি- জামায়াত সেটা সহ্য করতে পারছে না। সহ্য করবেন কেন? তাদের আমলে দেশকে তারা পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যম্পিয়ন করেছে, জঙ্গীবাদ কায়েম করেছিল, জাতীয় অগ্রগতি অনেক পিছিয়ে দিয়েছিল। আর শেখ হাসিনা এক রকম শূণ্য থেকে শুরু করে দেশকে আজ বিশ্বে উন্নয়ন অগ্রগতির রোল মডেলে পরিনত করেছেন।

সরকারি দলের সদস্যরা বাস্তবায়নাধীন ২৪টি মেঘা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও এ সব প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

তারা বলেন, গত এক যুগে এ সরকারের আমলে উন্নয়নের সকল সূচক বেড়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে শতকরা ৭ ভাগ বজায় রাখা সম্ভব হয়। এমনকি মহামারি করোনাকালে বিশ্বের অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি যেখানে নেতিবাচক, সেখানে বাংলাদেশের অর্জন ৫.২০ ভাগ।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে পতিত জমিতে কৃষি কর্মকর্তার বিষমুক্ত সবজি বাগান

রাষ্ট্রপতির ভাষণ সরকারের গত এক যুগে সূচিত উন্নয়ন অগ্রগতির বাস্তব চিত্র : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:১৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১
তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মুরাদ হাসান

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেছেন, ভাষণে রাষ্ট্রপতি সরকারের গত এক যুগে সূচিত উন্নয়ন অগ্রগতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।

২৬ জানুয়ারি ছিল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার ষষ্ঠ দিন।

গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। গত ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন।

আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধিতে নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

আজ আলোচনায় অংশ নেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সরকারি দলের আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলাম, সুবিদ আলী ভুইয়া, এ বি তাজুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আবদুস সালাম মুর্শেদী, মঞ্জুর হোসেন, মো. সাইফুজ্জামান, মাজাহারুল হক প্রধান, কাজী নাবিল আহমেদ, এবং জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান ও বেগম রওশন আরা মান্নান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, সরকার দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিনত করতে রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ ঘোষণা করে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। এ জন্য ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ব-দ্বীপ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের ফলে অর্জিত সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল যোগ্যতা অর্জন করেছে। ঘোষিত নির্ধারিত সময়ে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে। আর ‘৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে।

তিনি বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, এ মহামারিতে যখন গোটা বিশ্ব পর্যদুস্ত তখন প্রধামন্ত্রীর বলিষ্ট ও দক্ষ নেতৃত্ব এবং সময়োপযোগি পদক্ষেপের ফলে দেশ আবার ঘুরে দাঁড়িছে।

তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় প্রশংসিত হয়েছে। এ জন্য বিশ্বে ৮ জন সফল নারী নেতৃত্বের তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া আমেরিকার সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্র্গের সমীক্ষায় বিশ্বের ১৮৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ করোনাকালের সাফল্যের দিক থেকে ২০তম স্থান অর্জন করে।

তিনি মুজিববর্ষে দেশে আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মুজিববর্ষে গৃহহীনের বাসস্থান নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসাবে ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ হাজার গৃহ গৃহহীনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ভাবে সব খাতেই ব্যাপক সাফল্য এসেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে শত বাধা আর পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবেলা করছে। করোনা মোকাবেলার এ সাফল্য আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

তিনি করোনাকালে জরুরী ভিত্তিতে তার মন্ত্রনালয় থেকে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে জনগণের জরুরী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস এ উত্তীর্ণ ২ হাজার অতিরিক্ত ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান ৪২তম বিসিএস এর মাধ্যমে আরো ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে।

এছাড়া তিনি বলেন, প্রশাসনের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এর গতিশীলতা বৃদ্ধি করে এটিকে সত্যিকারভাবে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি এ ব্যাপারে গত এক যুগে যে সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল করোনা টিকা নিয়ে বিভিন্ন অহেতুক প্রশ্ন তুলছেন। সরকার থেকে প্রথম থেকে বলা হয়েছে সঠিক সময়েই বাংলাদেশ টিকা পাবে। আর সে টিকা সঠিক সময়েই পাওয়া গেছে। এখন আবার দাম নিয়ে কথা প্রশ্ন তুলছেন। এটার জবাবও দেয়া হয়েছে। এ টিকা ভারত যে দামে ক্রয় করছে, বাংলাদেশও সে দামে ক্রয় করছে। তারা টিকা নিয়ে রাজনীতি না করার আহবান জানান।

তারা বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়ছে । আর আন্তর্জাতিকভাবে এটার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বিএনপি- জামায়াত সেটা সহ্য করতে পারছে না। সহ্য করবেন কেন? তাদের আমলে দেশকে তারা পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যম্পিয়ন করেছে, জঙ্গীবাদ কায়েম করেছিল, জাতীয় অগ্রগতি অনেক পিছিয়ে দিয়েছিল। আর শেখ হাসিনা এক রকম শূণ্য থেকে শুরু করে দেশকে আজ বিশ্বে উন্নয়ন অগ্রগতির রোল মডেলে পরিনত করেছেন।

সরকারি দলের সদস্যরা বাস্তবায়নাধীন ২৪টি মেঘা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও এ সব প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

তারা বলেন, গত এক যুগে এ সরকারের আমলে উন্নয়নের সকল সূচক বেড়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে শতকরা ৭ ভাগ বজায় রাখা সম্ভব হয়। এমনকি মহামারি করোনাকালে বিশ্বের অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি যেখানে নেতিবাচক, সেখানে বাংলাদেশের অর্জন ৫.২০ ভাগ।