জামালপুরে সাতটি গ্রামীণ রাস্তায় ফলজবৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

ফলজবৃক্ষের চারা রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জামালপুর জেলার সাতটি উপজেলার সাতটি গ্রামীণ রাস্তার পাশে বিভিন্ন জাতের ফলজবৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ৪ নভেম্বর দুপুরে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর-হরিপুর বাঁধ রাস্তায় ফলজবৃক্ষের চারা রোপণ করে এই কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন জামালপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াছমিন, মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হক বাবু, মেষ্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জামিনুর ইসলাম তালুকদার, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও বৃক্ষরোপণ করেন।

বৃক্ষরোপণ উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধের লক্ষ্যে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তাদের মাঝে পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের তৈরি মাস্ক বিতরণ করেন।

মাস্ক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এছাড়াও মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মাঝে মুজিববর্ষের লোগো, স্থানীয় সরকার বিভাগের শ্লোগান- শেখ হাসিনার দর্শন, সব মানুষের উন্নয়ন, গ্রাম শহরের উন্নতি, শেখ হাসিনার মূলনীতি লেখা সম্বলিত বিশেষ ছাতা বিতরণ করা হয়।

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াছমিন এ প্রতিবেদককে জানান, জেলার সাতটি উপজেলায় সাতটি রাস্তায় ফলজবৃক্ষ রোপণ করা হবে পর্যায়ক্রমে। জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ হাজিপুর-হরিপুর বাঁধ রাস্তার পাশে দুই হাজার ফলজবৃক্ষের চারা রোপণ করা হবে। এছাড়া সদরের ১৫টি ইউনিয়নেই করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যবিধির প্রচারণা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের তৈরি মাস্ক এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও গ্রামপুলিশ সদস্যদের মাঝে মুজিববর্ষের লোগো সম্বলিত বিশেষ ছাতা বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।