ইসলামপুরে ঢাকনা বিহীন ড্রেন, বাড়ছে মশার উপদ্রব

ইসলামপুরে পৌরসভার ঢাকনা বিহীন ড্রেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ঢাকনা বিহীন পৌরসভার ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌরবাসী। দিনরাতে সমানতালে মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কিন্তু বেসামাল পরিস্থিতিতে মশা নিধনে নেই কার্যকর কোনো উদ্যোগ। এ নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে।

বন্ধ ড্রেন পরিষ্কার না করায় সৃষ্ট পানিবদ্ধতা মশা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন পৌর বাসিন্দারা। ময়লা-আবর্জনার স্তুপে বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার প্রজনন। মশার কামড়ে মানুষই নয়, গৃহপালিত পশুরাও অস্বস্তিতে রয়েছে।

দিনের বেলায় মশার উপদ্রব কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর এর যন্ত্রণা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে বাসায় মশার কয়েল জ্বালাতে হয়। চলতি মাসে একবারও মশা নিধন কার্যক্রম আশানুরূপ চোখে পড়ছে না। মশার কারণে রাতে সন্তানদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। রাতে খাওয়ার সময়ও মশার কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে। তখন মশা মরে খাবারের মধ্যে পড়ছে। রাতে মাঝে মধ্যে মশারিতে মশা ঢুকে পড়ছে। এ থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়ে কাহিনী সংলাপ চিত্রনাট্যকার পরিচালক সৈয়দ মাসুদ রাজাসহ একাধিক জনরা নিজের ক্ষোভের কথা তুলে ধরছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

এছাড়াও আক্ষেপ করে মাজহারুল ইসলাম, খোরশেদ আলমসহ সুধীজনরা জানান, ড্রেন নির্মাণে পুরোটাই স্লাব ব্যবহার না হওয়ায় মশার উপদ্রবসহ রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। পৌর এলাকার পরিষ্কার হচ্ছে না ড্রেন, ফলে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা থমকে রয়েছে। ড্রেনে পরে থাকা ময়লা আর্বজনা ও পলির স্তুপ জমে পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। ড্রেনেজ পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বাতাসের সাথে মানব দেহের নিঃশ্বাসের সাথে প্রবেশ করছে।

অক্টোবরে মশা প্রজনন আরও বৃদ্ধি পাবে। মশা ও মাছির জন্ম বিস্তারে ছড়িয়ে পড়বে নানা রোগ ব্যধিসহ এসিড মশাবাহিত ভয়ংকর ডেঙ্গু জ্বর। এর মধ্যে গত কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ার পর বাসা-বাড়িতে জেঁকে বসেছে মশা। এই অবস্থায় ড্রেনেজ ব্যবস্থায় স্লাব (ঢাকনা) এবং মশা নিধনে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে তারা মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের শেখ জানান, ড্রেন নির্মাণ ও পরিষ্কার কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিটি ড্রেনেই শতভাগ ঢাকনা হচ্ছে। ৩ অক্টোবর থেকে আবারও মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করবেন বলে তিনি জানান।