যথাযোগ্য মর্যাদায় বশেফমুবিপ্রবিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত

বশেফমুবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৫ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে বশেফমুবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল- বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধু কর্নারে আলোকচিত্র প্রদর্শনী উল্লেখযোগ্য।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মহিউদ্দিন মোল্লাসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আমরা আমাদের জাতির পিতাকে হারিয়েছি। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। এর আগেই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে তাঁকে শাহাদাত বরণ করতে হয়।

বঙ্গবন্ধু চরিত্রের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, তিনি অত্যন্ত সৎ, উদার, দেশপ্রেমিক, সাহসী ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের সংগ্রামে তিনি মৃত্যু, জেল, জুলুমকে কখনও ভয় পাননি। মানুষের মুখ দেখেই তার দুঃখ দুর্দশা বুঝে যেতেন তিনি। মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এবার ১৫ আগস্ট আমাদের মাঝে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এসেছে। এ বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। আমাদের প্রত্যয় হোক-১৫ আগস্টকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য উপাচার্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অতিথিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

এদিকে যোহরের পর ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে স্থানীয় মসজিদে দোয়া এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।