সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর স্থলে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংযুক্তিসহ ১১ দাবি

স্মারকলিপি পেশ করেন আদিবাসী নেতারা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের স্থলে আদিবাসী শব্দটি সংযুক্ত, জাতীয় সংসদে ১৫টি সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ এবং এ সংক্রান্ত পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনসহ ১১টি দাবি উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার অর্নিবান সংঘ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা। ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে দুপুরে উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরে ইউএনও রুবেল মাহমুদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাবি সংশ্লিষ্ট একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

লিখিত মূল বক্তব্যে ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন উপজেলা শাখার জেনারেল সেক্রেটারি অসীম ম্রং বলেন, বর্তমান সরকার আদিবাসী বান্ধব সরকার। এ দেশের আদিবাসীদের জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আইন ২০১০ প্রনয়ণ করেছেন। তাছাড়া বর্তমান সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে অবহেলা করা হয়েছে এবং আমাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি। তাই দেশের সংবিধানে আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, জাতীয় সংসদে ৫% অর্থ্যাৎ ১৫টি সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ ও তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনসহ ১১টি দাবি উপস্থাপন করেন তিনি।

এ দিন সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মি. নবেশ খকশি, চাসংগিত্তাল ক্লাব মরিয়মনগরের সাধারণ সম্পাদক রনু নকরেক, মরিয়মনগর ওয়াইএমসিএর সাধারণ সম্পাদক হেমার্শন চিরান, তোচ কালচারাল এন্ড ডেভোলপম্যান্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি যুগল কিশোর কোচ, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ঝিনাইগাতীর সভাপতি অনিক চিরান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, আজ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে জেলার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায় অধ্যুষিত নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদীতেও নানা আয়োজনে এ দিনটি পালন করছেন হাজারো মানুষ।