ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উপজেলায় যমুনার পানি ধীর গতিতে নামছে। অন্যদিকে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রহ্মপুত্রের পানি।

২১ জুলাই বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৭৮ ও ব্রহ্মপুত্রের পানি জামালপুর পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জামালপুর ইসলামপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

পানিবন্দি দিন কাটছে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের প্রায় ৩ লাখ মানুষের। দুর্গত এলাকায় এখনও রয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের সংকট। ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে পানিবাহিত রোগ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংসদ বিভিন্ন এলাকায় দুর্গতদের মাঝে রুটি ও খিচুরি রান্না করে বিতরণ করা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রুটি ও খিচুরি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপজেলার ৪৬টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী প্রতিদিন বিতরণ করা হবে।

অন্যদিকে রেললাইনে বন্যার পানি উঠায় এখনও বন্ধ রয়েছে ইসলামপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জ ট্রেন চলাচল।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য ৫ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা, ৮৫ টন জিআর চাল ও ৩ হাজার ৫৭৫ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শিশু ও গো-খাদ্য বাবদ ১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে

আপডেট সময় ১২:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উপজেলায় যমুনার পানি ধীর গতিতে নামছে। অন্যদিকে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রহ্মপুত্রের পানি।

২১ জুলাই বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৭৮ ও ব্রহ্মপুত্রের পানি জামালপুর পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জামালপুর ইসলামপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

পানিবন্দি দিন কাটছে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের প্রায় ৩ লাখ মানুষের। দুর্গত এলাকায় এখনও রয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের সংকট। ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে পানিবাহিত রোগ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংসদ বিভিন্ন এলাকায় দুর্গতদের মাঝে রুটি ও খিচুরি রান্না করে বিতরণ করা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রুটি ও খিচুরি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপজেলার ৪৬টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী প্রতিদিন বিতরণ করা হবে।

অন্যদিকে রেললাইনে বন্যার পানি উঠায় এখনও বন্ধ রয়েছে ইসলামপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জ ট্রেন চলাচল।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য ৫ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা, ৮৫ টন জিআর চাল ও ৩ হাজার ৫৭৫ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শিশু ও গো-খাদ্য বাবদ ১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।