দেওয়ানগঞ্জে বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

দেওয়ানগঞ্জ যমুনার বন্যার পানিতে প্লাবিত টাকিমারী এলাকা। ছবি ১৪ জুলাই দুপুরে তোলা হয়েছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ থেকে
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টি পাতে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। দ্বিতীয় দফা বন্যায় দেওয়ানগঞ্জে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আশংকা দেখা দিয়াছে ভয়াবহ বন্যার। ইতিমধ্যে উপজেলার পৌর শহরসহ ৮টি ইউনিয়নের ১০০ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ফলে বন্যা দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

১৪ জুলাই দুপুরে যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৯৯ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে ১১২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় খাদ্য বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছে।

১৪ জুলাই দুপুরে উপজেলার টাকিমারী গ্রামের আবু সালেক জানান, তিনদিন ধরে ছেলে মেয়ে পরিবার নিয়ে পানিতে ভেসে বেড়াই। কোন কুল না পেয়ে সেতুর উপর গরু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। নিজের খাবারতো দূরের কথা গরু নিয়ে চিন্তায় আছি।

জামেলা বেগম জানান, স্বামী নাই বেটা-বেটি নাই, তিনদিন ধরে বানের পানির মধ্যে ঘরেই আছি।

উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এনামুল হাসান জানিয়েছেন, বন্যার্তদের জন্য ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। এছাড়াও পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৫৪ হাজার পরিবারের জন্য ৫৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে। কোনো দরিদ্র বা বন্যার্ত মানুষ না খেয়ে থাকবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া জানান, বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। বানভাসি মানুষের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম করা হয়েছে। ৮টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বন্যার্ত মানুষদেরকে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪৬৫টি পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তাদের মাঝে খাবার বিতরণ ও ত্রাণ, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।