মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা ওসি আলমগীর

আবু মিয়াকে কাঁচা বাজার, মুরগি, মাছ, শাকসবজি ও নগদ অর্থ তুলে দেন ওসি মো. আলমগীর হোসেন শাহ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

একাধারে একজন মানবিক এবং সামাজিক গুণাবলী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তা শেরপুরের নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন শাহ। যিনি সব প্রয়োজনে পাশে দাড়ান পুলিশের, দাড়িয়ে যান সমাজ সংস্কারে, পাশে দাড়ান পাশে দাড়ান অসহায়দের। কোথায় নেই তার পদচারণা? এক কথায় নকলাবাসী এমন একজন গুণাবলী সমৃদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তা পেয়ে যেমনি আনন্দিত তেমনি আশান্বিত।

১ জুলাই বুধবার সাড়ে বারটা। হঠাৎ পুলিশের গাড়ির সাইরেন নকলার জালালপুর এলাকায়। কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই সোজা চলে গেলেন অসুস্থ আবু মিয়ার বাড়িতে। গিয়ে দেখা গেল ওসি আলমগীর হোসেন শাহ। নির্দিষ্ট দূরত্বে দাড়িয়ে রয়েছেন পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা। বেশকিছু সময় সামনা-সামনি দূরত্ব বজায় রেখে দাড়িয়ে থেকে আবু মিয়ার চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন তিনি এবং সহযোগিতা ও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি। আবু মিয়াকে কাঁচা বাজার, মুরগি, মাছ, শাকসবজি ও নগদ অর্থ সরবরাহ করলেন। ‘মানবিক পুলিশের চোখে জনতার আকাঙ্খা লেখা থাকে’ এই শ্লোগানে নকলার আইনশৃঙ্খলায় পরিবর্তন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা এসেছে যার কর্ম দক্ষতায় তিনি চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীর।

জানা গেছে, অসুস্থ আবু মিয়ার বাড়ি নকলা পৌরসভার মাওরা এলাকায়। তিন তার সহায় সম্বল সব বিক্রি করে তার লিভারের বাইপাস অপারেশন করেন। বর্তমানে তার কিছুই নেই। তিনি তার মেয়ের জামাই বাড়ি জালালপুর এলাকায় থাকেন। তার চিকিৎসার খরচও অনেক। তিনি ঠিকমতন চিকিৎসা না করতে পেরে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছে। তিনি সমাজের ধনাট্য ব্যক্তিদের কাছে তার চিকিৎসা সহায়তার জন্য আবেদন জানান।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন শাহ জানান, আমি আবু মিয়ার বিষয়টি ফেসবুকে দেখি। শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার স্যার খুবই মানবিক। তার পরামর্শক্রমে আজ আমরা আবু মিয়াকে দেখতে যাই এবং তার শারীরিক খোঁজ খবর নেই। তাকে নকলা থানার পক্ষ থেকে সামান্য সহায়তা করি।