জামালপুরে সংসদ সদস্যসহ আরও ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে ৩ জুন একজন সংসদ সদস্য, দু’জন স্বাস্থ্য সহকারী ও র্যা ব সদস্যের ছয় বছরের এক ছেলে সন্তানসহ জেলায় নতুন করে আরও ১৯ জন করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হলেন ২৭২ জন। জামালপুর জেলার সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস ৩ জুন দিবাগত রাত ১টার দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, ময়মনসিংহের পিসিআর ল্যাবে জামালপুর জেলা থেকে পাঠানো বেশ কিছু নমুনা ৩ জুন পরীক্ষা হয়েছে। সেখান থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে দুই দফা পাঠানো সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে জামালপুর জেলায় ১৯ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আরো কিছু নমুনার প্রতিবেদনসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৪ জুন পাওয়া যাবে।

৩ জুন গভীর রাত পর্যন্ত জেলায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ১৯ জনের মধ্যে জেলার ইসলামপুর উপজেলাতেই রয়েছেন ১৪ জন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ব্যক্তিগত সহকারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পুরুষ ও নারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তাদের দুই ব্যক্তিগত সহকারী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আওতাধীন একজন নারী ও একজন পুরুষ স্বাস্থ্য সহকারীর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।

এ ছাড়া বাকি পাঁচজনের মধ্যে জেলার মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদর উপজেলায় একজন করে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে জামালপুর সদরে বেলটিয়ায় র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের একজন সদস্যের ছয় বছরের ছেলের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। করোনার উপসর্গ সন্দেহে ওই র‌্যাব সদস্য, তার স্ত্রী ও ছেলের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠালে ৩ জুন তাদের সন্তানের করোনা পজিটিভ আসে। র‌্যাব ক্যাম্পের ভেতরে আবাসিক ভবনে তাদের বাসায় ওই শিশুকে তার মায়ের কক্ষে হোম আইসোলেশনে এবং শিশুটির বাবা ওই র‌্যাব সদস্যকে আলাদা কক্ষে চৌদ্দ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সদরের ইউএইচএফপিও চিকিৎসক মো. লুৎফর রহমান।

সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস আরও জানান, ৩ জুন জেলায় নতুন করে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ যেখানে যা যা করা দরকার সেভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাতে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হাতে আসেনি। তাই এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য ৪ জুন সকালে জানা যাবে। তিনি আরও জানান, এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ২৭২ জন করোনার রোগী শনাক্ত হলো। তাদের মধ্যে মারা গেছেন দুই নারীসহ চারজন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৩২ জন।