শেরপুরে সেই ইজিবাইকচালকের পরিবারের পাশে দাঁড়ালো জেলা প্রশাসন

ইজিবাইকচালক খোকনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে পানির ফোয়ারায় নেমে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক ইজিবাইকচালকের মৃত্যুর ঘটনায় ওই চালকের পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। ১৬ মে সকালে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের নির্দেশনায় মৃত ইজিবাইকচালক খোকনের বাড়িতে যান শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার। এসময় খোকনের পরিবারের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া সরকারের চলমান মানবিক সহায়তা কর্যক্রমে ওই পরিবারটিকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। সেই সাথে ভবিষ্যতেও জেলা প্রশাসন ওই পরিবারের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করা হয়।

সূত্র জানায়, ১৫ মে বিকেলে শেরপুর শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্ত্বর মোড়ে করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ইজিবাইকচালকরা যাত্রী পরিবহন করছিল। ওই অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশ ও ডিবি পুলিশ লকডাউন কার্যকরে ওইসব ইজিবাইক চালকদের সরিয়ে দেওয়াসহ কিছু কিছু ইজিবাইকের পেছনের সিট খুলে রেখে দিচ্ছিল।

এক পর্যায়ে খোকনের ইজিবাইকের সিট খুলে শাপলা চত্ত্বর পানির ফোয়ারায় ফেলে দেয় কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ। ওইসময় খোকন ফেলে দেওয়া সিট ফোয়ারার পানি থেকে তুলতে ফোয়ারায় নামে। এদিকে ফোয়ারার পানি বৈদ্যুতিক মোটরের তারের মাধ্যমে আগে থেকেই বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকায় খোকন তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে তাকে উদ্ধার করে।

এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ডিবি পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ খোকনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খোকনের বাড়ি জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গড়জড়িপা ইউনিয়নের গোপালখিলা গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। সে দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে খোকনের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।