খুলে দেওয়া হলো ব্রহ্মপুত্রপাড়ের নতুন বাইপাস সড়ক

ব্রহ্মপুত্রপাড়ের নতুন বাইপাস সড়ক উদ্বোধনের পর মোনাজাতে অংশ নেন সংসদ সদস্য মির্জা আজম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আলী আকবর, নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির অক্লান্ত পরিশ্রমে অবশেষে খুলে দেওয়া হলো স্বপ্নের ব্রহ্মপুত্র বাইপাস ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ নূরুল আমিন সড়ক’। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৪ মে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয় সড়কটি।

জামালপুর শহরবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া দৃষ্টিনন্দন বাইপাস সড়কটি খুলে দেওয়ার ফলে শহরের যানজট কমে আসবে। কয়েকদফা সময় বাড়ানোর পর প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে।এদিকে কাজ শেষ হওয়ায় খুশি সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।

জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্র সেতু থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার নদীর পার দিয়ে ফৌজদারি মোড় পর্যন্ত সড়কটি বাস্তবায়নে সব মিলিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। জামালপুর পৌরসভা বাইপাস সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজের ট্রেন্ডার শেষ হয়েছে, খুব দ্রুত বর্ধিতকরণ কাজ সম্পন্ন হবে।

জামালপুর জেলার উন্নয়নের রূপকার তারুণ্যদীপ্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী যুবকন্ঠ সংসদ সদস্য মির্জা আজম মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে স্বপ্নের ব্রহ্মপুত্র বাইপাস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। জমি অধিগ্রহণ শেষে ২০১৭ সালে কাজ শুরু হয় বাইপাস সড়কের।

সড়কের দু’পাশে ফুটপাথে আধুনিক কারুকাজ সংবলিত টাইলস লাগানো হয়েছে। পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এ ফুটপাথ দিয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন। পুরো সড়কটি সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। লাগানো হবে ডাবল এলইডি লাইট।

দৃষ্টিনন্দন এ সড়কে অনেকেই বিকেলে ঘুরতে আসেন। সড়কের পাশে অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছেন। দুই প্রান্তে সড়ক বর্ধিতকরণ ছাড়াও গোল চত্ত্বর নির্মাণ করা হবে। জিলা স্কুল এবং পৌর ভবন এলাকায় সড়কসংলগ্ন জলাশয়ে শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলছে।

মির্জা আজম বলেন, আমি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এক মতবিনিময় সভায় আপনারা আমার হাতে একটি উন্নয়নের তালিকা ধরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই তালিকার সবগুলো প্রকল্পই ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। তালিকার বাইরেও অনেকগুলো কাজের প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে , আরও কিছু প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

প্রতিশ্রুতির অনেক কাজ ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে , অনেক কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে এবং আরও কিছু কাজ বাস্তবায়নের প্রতিক্রিয়াধীন রয়েছে। সব কাজ বাস্তবায়ন হলে জামালপুর জেলা হবে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের একটি মডেল জেলা। তিনি ১৪ মে বাইপাস চত্বরে উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল, জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক, পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নির্মাণকাজের ঠিকাদার সোহরাব হোসেন বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানু, দপ্তর সম্পাদক ও নির্মাণকাজের ঠিকাদার আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু, সদস্য শাহরিয়ার উজ্জ্বল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্মাণকাজের ঠিকাদার ফারহান আহমেদ প্রমুখ।