বকশীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা!

নির্যাতনের শিকার জাহানারা বেগম

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও দেবরের বিরুদ্ধে। ১২ মে বিকালে বগারচর ইউনিয়নের সারমারা শ্মশান ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই নারী। নির্যাতনের শিকার ওই নারী বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বগারচর ইউনিয়নের বালুগাও গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে জাহানারা বেগম (২৮) এর সাথে ১০ বছর আগে একই ইউনিয়নের সারমারা শ্মশান ঘাট এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য জাহানারা বেগমের কাছে চাপ প্রয়োগ করেন আলমগীর হোসেন ও তার পরিবার ।

যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় জাহানারা বেগমকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল স্বামী আলমগীর হোসেন। এর মধ্যে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন জাহানারা বেগম। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

১২ মে বিকালে জাহানারা বেগমের কাছে তার স্বামী আলমগীর হোসেন পূর্বের মত যৌতুক হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তার বাবার যৌতুক দেওয়ার মত সামর্থ নাই এবং তা দিতে অস্বীকার করলে আলমগীর হোসেন তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন এবং তাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন

এ সময় আলমগীর হোসেনের ভাই আলম মিয়াও তাকে মারধর করেন। মারপিটের ফলে বাম চোখের নিচে জখম হয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত বের হলে স্থানীয় সারমারা নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর আল ফারুকের বাড়িতে দৌড়ে উঠেন। ওই প্রধান শিক্ষক এ সময় তাকে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে হাসপাতালে পাঠান।

যৌতুকের জন্য নির্যাতন করায় স্বামী আলমগীর হোসেন, দেবর আলম মিয়া ও পায়েল বেগমকে আসামি করে নির্যাতিতা জাহানারা বেগম ১৪ মে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, এ ঘটনায় ওই নারী তার স্বামীসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। একজন উপপরিদর্শককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।