সাংবাদিকরা পুলিশের ছায়াসঙ্গী : শেরপুরের পুলিশ সুপার

করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

সাংবাদিকরা পুলিশের ছায়াসঙ্গী, তেমনি পুলিশও সাংবাদিকদের ছায়াসঙ্গী উল্লেখ করে শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম আশা প্রকাশ করে বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে সাংবাদিক ও পুলিশ এক সাথে কাজ করবে। তিনি ৪ মে দুপুরে শহরের অষ্টমিতলায় পুলিশ লাইনে নবনির্মিত দরবার হলে জেলার পাঁচ উপজেলায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য, সিভিল স্টাফ, আউটসোসিং এবং তাদের পরিবারবর্গদের মাঝে তৃতীয়বারের মতো করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, করোনা মোকাবেলায় শেরপুরে সহস্রাধিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের কাজের ধরন একটু ভিন্ন। পুলিশ সদস্যদের রাতেও যেমন প্রস্তুত থাকতে হয়, তেমনি দিনেও প্রস্তুত থাকতে হয়। বৃষ্টিতেও প্রস্তুত থাকতে হয়, তেমন খরাতেও প্রস্তুত থাকতে হয়। আমরা চেষ্টা করছি পেশাদারিত্বের মধ্য থেকে কাজ করতে। এ মুহূর্তে মাঠে কাজ করতে গেলে আমাদের কাছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে সুরক্ষা সামগ্রী। তাই সকল পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষার মধ্যে রাখতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্যদিকে সাংবাদিকরা পুলিশের প্রতিটি কাজে ছায়াসঙ্গী হিসাবে যেমন কাজ করছে তেমনি পুলিশও সাংবাদিকদের ছায়াসঙ্গী হিসাবে কাজ করছে। কাজের ক্ষেত্রে পুলিশ যেখানে যাচ্ছে সাংবাদিকরাও সেখানে যাচ্ছে। তেমনি সাংবাদিকরা যেখানে যাচ্ছে সেখানে পুলিশও হাজির। অর্থাৎ আমরা একে অপরের পরিপূরক হিসাবে কাজ করছি। সে জন্য সুরক্ষা সামগ্রী আপনাদের মাঝেও শুভেচ্ছা উপহার হিসাবে বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনায় শেরপুরে তিনজন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুইজন সদস্য সুস্থ হয়েছেন। তারা ৩ মে চিকিৎসকদের কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। আর ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তিনি ভালো আছেন। ধারণা করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি আগামী সপ্তাহে খারাপ হবে। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, যে পর্যায়ে আছি সেটা আরও কমে আসুক, আগামী দিন যেন আমাদের কাছে দুঃস্বপ্ন নিয়ে না আসে। আমরা ভালো খবর প্রত্যাশা করছি। এ জন্য আমাদের সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

এদিন তিনি পুলিশের পক্ষ থেকে ধান কেটে মাড়াই করে কৃষকের ঘরে তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা দেওয়া সহজ হবে। সে লক্ষেই কৃষক যেন সময় মতো ধান ঘরে তুলতে পারে পুলিশের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব মেনে পুলিশ সুপার ৪ মে উপস্থিত সকলের মাঝে গ্লাভস, মাস্ক, সাবান, মধু ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বড়িসহ ইফতার সামগ্রী তুলে দেন। পরে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে পিপিইসহ সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা।