জামালপুর মুক্তি সংগ্রাম যাদুঘর হতে পারে শিক্ষার্থীদের বড় পাঠশালা : জেলা প্রশাসক

জামালপুর মুক্তি সংগ্রাম যাদুঘর পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের নিভৃত এক গ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ করে দেশপ্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জামালপুর মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘর। প্রতিটি ছাত্র, ছাত্রী এই যাদুঘরে এসে ইতিহাস পাঠ করা উচিৎ। তারা মুক্তিযুদ্ধ তথা বাঙ্গালী জাতির শ্বাশত সংগ্রামের ইতিহাস জানতে পারবে। জামালপুর মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘর হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য বড় একটি পাঠশালা। আমি জামালপুরে পাঁচ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে লিখিতভাবে ছাত্র, ছাত্রীদের এখানে আসার আহ্বান জানাবো। জামালপুর মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘর পরিদর্শনে এসে কথাগুলো বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।

৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘর ও গান্ধি আশ্রম পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামিন, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, যাদুঘরের ট্রাস্টি হামিদুল হক দোদুল, চপল সরকার, কল্লোল সরকার, হিল্লোল সরকার, বিশিষ্ট সমাজকর্মী আবু বক্কর সিদ্দিকী, উন্নয়ন সংঘের উপজেলা ব্যবস্থাপক আরজু মিয়া প্রমুখ।

জামালপুর মুক্তি সংগ্রাম যাদুঘর পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক যাদুঘরের উন্নয়ন, রাস্তা সংস্কারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উন্নয়নে সরকারিভাবে সহয়তার আশ্বাস দেন। তিনি যাদুঘর, গান্ধি আশ্রম, পাঠাগার, পানির ফোয়ারা এবং নির্মাণাধীন ভবনের কাজ পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরে কাপাসহাটিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপি ও সিজি সদস্যদের সিসির কার্যক্রম উন্নয়নে বেশকিছু পরামর্শ দেন।