বকশীগঞ্জে মাদরাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে স্মারকলিপি

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী। ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে ওই স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

চন্দ্রাবাজ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সী বীর প্রতীক (বার) এর নেতৃত্বে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্বারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন। তারা এ সময় অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।

জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রাবাজ গ্রামের বাসিন্দা ও শেফালী মফিজ মহিলা আলিম মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গত ১৫ জুলাই নিজ ঘরে শ্লীলতাহানী করে একই মাদরাসার জুনিয়র শিক্ষক মো. রুকুনুজ্জামান। এ সময় ওই ঘরে কেউ ছিলেন না। শ্লীলতাহানীর ঘটনায় ওই ছাত্রী পরদিন ১৬ জুলাই মাদরাসার অধ্যক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়েই মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনার সত্যতা পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষক রুকুনুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছে মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ।

এ ঘটনা ঘটিয়েই ওই শিক্ষক মাদরাসায় আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি মাদরাসায় পাঠদানও বন্ধ রেখেছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক রুকুনুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কয়েক দিন যাবৎ অসুস্থ, এজন্য মাদরাসায় যেতে পারছি না।