সরিষাবাড়ীতে বিদ্যালয়ের ফটকে জ্বলন্ত চুলা, জনদুর্ভোগ চরমে

হরখালী মজিবুর রহমান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তার উপর একাধিক চুলা জ্বালানোয় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কথা তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার কর্তৃক প্রধান গেট অবরুদ্ধ করে চুলায় জ্বালানোর অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হরখালী মসজিদ মোড় থেকে চাপারকোনা সংযোগ সড়কে এক কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে। রাস্তা নির্মাণ কাজের জন্য হরখালী মজিবুর রহমান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তার উপর আড়াআড়ি একাধিক চুলা স্থাপন করেছে ঠিকাদার। যার ফলে বিদ্যালয় চলাকালীন প্রায় চারশতাধিক ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের পড়ালেখা ও যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জ্বলন্ত চুলার পাশ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৌড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। পথচারী ও পাশে থাকা বাড়িঘরের মানুষের চলাচল ও জীবনযাপন চরম ভোগান্তিতে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শান্ত, ৭ম শ্রেণির সূচি, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশা, ১০ম শ্রেণির উর্মি ও শরিফুল জানায়, দুই দিনযাবৎ স্কুলের গেটের সামনে জ্বলন্ত চুলা জ্বালিয়ে ঠিকাদার রাস্তার কাজ করছে। এতে বিদ্যালয়ে আসতে ও যেতে আমাদের চরমভাবে কষ্ট হচ্ছে। যেকোনো সময় আগুনের ফুলকি এসে আমাদের শরীরে লাগতে পারে। এছাড়াও শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করার সময় আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে এবং চোখে জ্বালাপোড়া করে পানি আসে। এটি দ্রুত অপসারণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আশুদৃষ্টি কামনা করছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর বলেন, আমাদের না জানিয়ে রাস্তার কাজের জন্য বিদ্যালয়ের গেটে চুলা জ্বালিয়ে কাজ করছে দিপু পাঠানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে এ ব্যাপারে আমি জানতে চাইলে ঠিকাদার দিপু পাঠান বলেন, কাজ যেহেতু শুরু করেছি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে সরিয়ে ফেলবো।

এব্যাপারে রাস্তার কাজে নিয়োজিত কার্য-সহকারী আব্দুল লতিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাস্তার কাজে কোথাও জায়গা না পেয়ে বিদ্যালয়ের সামনে এ চুলা জ্বালানো হয়। কাজ শেষ হলে অপসারণ করা হবে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার দিপু পাঠানের সাথে কথা বললে তিনি দাম্ভিকতার সাথে জবাব দেন যে, চুলা স্থাপন করেছি, সরকারি কাজ তাই, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য চারজন লোক নিয়োগ করেছি। আর দুর্ঘটনা হতেই পারে, এটা কাউকে বলে আসে না।