ডেঙ্গু প্রতিরোধে জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগের মাইকিং, প্রচারপত্র বিলি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখার প্রচারাভিযান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জামালপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেছে। ১ আগস্ট সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শহরে মাইকিং এবং প্রচারপত্র বিলি করে এই প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেছেন।

জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল ১ আগস্ট সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর হাসপাতাল এলাকা, জেলা জজ আদালত এলাকা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, দেওয়ানপাড়া, বকুলতলা মোড়, সকাল বাজার এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ও রাস্তায় মাইকিং এবং জনসাধারণের মাঝে প্রচারপত্র বিলি করেন।

এই প্রচারণার অংশ হিসেবে শহরে মাইকিং এবং প্রচারপত্র বিলি করে এডিস মশাবাহিত মরণব্যধি ডেঙ্গু রোগের কবল থেকে রক্ষা পেতে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে এডিস মশার প্রজননের উৎসস্থল নিজ বাড়ি এবং আশপাশের যেকোনো যায়গায় ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা ও নারকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারির শেল ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি তিনদিন পরপর অপসারণ করতে হবে। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে এবং অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস করে ফেলা বা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি না জমতে পারে। এছাড়াও দিনে ও রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। একই সাথে জ¦রে আক্রান্তদের বিলম্ব না করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তাদের দৈনন্দিন পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণা চালাতে এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সিভিল সার্জন গৌতম রায় ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগ যেহেতু জামালপুরেও শনাক্ত হয়েছে, তাই সবাই সচেতন না হলে এই রোগ জামালপুরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ কারণে এই বিশেষ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের সচেতনতামূলক প্রচারণা অ্যাহত থাকবে।’