সরিষাবাড়ীতে ভাতিজার হামলায় আহত চাচা মারা গেলেন ১৩ দিন পর

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজার হামলায় আহত চাচা আব্দুস ছাত্তার বাবলু ২৭ জুন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।

ঘটনার ১৩ দিন পর তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। পাশাপাশি এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভও বিরাজ করছে। ১৪ জুন উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়িয়া গ্রামে খড়ের স্তূপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাচা ভাতিজার মধ্যে হামলা সংঘর্ষে আব্দুস ছাত্তার বাবলুসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বড়বাড়ীয়া গ্রামে আব্দুস সালাম মন্ডলের পাঁচজন ছেলে। তারা একই বসতভিটায় বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ ১৪ জুন বিকেলে গরুর খাওয়া খড়ের স্তূপ (উচুঁ টিবি) দিচ্ছিলেন বড় ভাই আব্দুল কাদের। এতে বাধা দেন ছোট ভাই আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী ছালেহা বেগম। এ নিয়ে দুই পরিবারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধায়।

সংঘর্ষ চলাকালে আব্দুল কাদেরের ছেলে শামীম মিয়া রামদা দিয়ে তার চাচা আব্দুল ছাত্তার বাবলুর পেটে কোপ দেন। এতে বাবলুর পেটের ভুড়ি বের হয়ে যায়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঘটনার ১৩ দিন পর ২৭ জুন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল ছাত্তার বাবলু মারা যান।

মৃত আব্দুস ছাত্তার বাবলুর স্ত্রী সালমা বেগম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, খড়ের স্তূপ দেওয়ার সময় আমার স্বামী মারামারি ফিরাতে গেলে ভাতিজা শামীম তাকে রামদা দিয়ে পেটে কোপ দিলে গুরুতর আহত হয়। ১৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।