জামালপুরে চারজন ওষুধ ব্যবসায়ীকে ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি এবং ওষুধের গায়ে লেখা দাম বিকৃত করে অধিক মূল্যে ওষুধ বিক্রি করায় চারজন ওষুধ ব্যবসায়ীকে ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন জামালপুর জেলা প্রশাসনের পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১৮ জুন সকালে তারা ২৫০ শয্যার জামালপুর সদর হাসপাতালের সামনে ব্রহ্মপুত্র চরের ওষুধ মার্কেটে এ অভিযান চালান।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম স্নিগ্ধা দাস ১৮ জুন সকালে জামালপুর সদর হাসপাতালের সামনে ব্রহ্মপুত্র চরের ওষুধ মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ওষুধের দোকান মালিক মো. লুৎফর রহমানের দোকানে অভিযান চালিয়ে ওষুধের মোড়কের গায়ে লেখা দাম বিকৃত করে অধিক মূল্য লিখে রাখার প্রমাণ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অপরাধের দায়ে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় ওষুধ ব্যবসায়ী মো. লুৎফর রহমানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মো. লুৎফর রহমান জামালপুর পৌরসভার দেওয়ানপাড়া এলাকার মৃত জমসের আলীর ছেলে। একই ভ্রাম্যমাণ আদালত একই স্থানে ১৯৪০ সালের ড্রাগ অ্যাক্টের ১৮ (ক) ও ২৭ ধারায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে মিতা মেডিক্যাল হলের মালিক মো. বজলুর রহমানকে এক হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। মো. বজলুর রহমান জামালপুর পৌরসভার পাথালিয়া গ্রামের মৃত মীর হোসেনের ছেলে।

অপরদিকে নির্বাহী হাকিম মো. আবু আব্দুল্লাহ খানের নেতৃত্বে অন্য একটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল ব্রহ্মপুত্র চরের ওই ওষুধ মার্কেটে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ওষুধ ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা এবং মো. জাকির হোসেনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। মো. নুরুল ইসলাম মেলান্দহ উপজেলার রায়ের বাকাই গ্রামের মো. শহিদ আলীর ছেলে এবং মো. জাকির হোসেন জামালপুর পৌরসভার পাথালিয়া গ্রামের মৃত সমেজ আলীর ছেলে।

জামালপুরের এনডিসি (নেজারত) ও নির্বাহী হাকিম মো. আবু আব্দুল্লাহ খান জামালপুর সদর হাসপাতালের সামনে ব্রহ্মপুত্র চরের ওষুধ মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।