বকশীগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আটক ২

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বিজ্ঞ আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা করা হলে এবং জমি দখলের বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছে । সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এরমধ্যে একজন আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৯ জুন উপজেলার ধানুয়া কামলপুর ইউনিয়নের সাতানী পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের সাতানী পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল ও মোখলেসুর রহমান সোনা পক্ষের সাথে একই গ্রামের তমিজ উদ্দিন সরকারের মধ্যে ৭০ শতাংশ জমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছিল। দীর্ঘদিন মোকদ্দমা চলার পর গত ২৪ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালত তমিজ উদ্দিন সরকারের পক্ষে রায় দেন। একই সঙ্গে বিবাদী আব্দুল জলিল পক্ষের ওই জমিতে প্রবেশে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

এই আদেশের পর থেকেই আব্দুল জলিল ও তার লোকজন ওই জমি দখলের চেষ্টা করতে থাকেন। অবশেষে ৯ জুন সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আব্দুল জলিল, মোখলেসুর রহমান সোনাসহ তাদের লোকজন আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের উদ্দেশ্যে জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটতে থাকে।

এমতাবস্থায় জমির মালিক তমিজ উদ্দিন সরকার ও তার ছেলে একরামুল হক মিষ্টার জমি দখলের বাধা দিলে আব্দুল জলিল ও মোখলেসুর রহমান সোনাসহ তাদের লোকজন উপর হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে তমিজ উদ্দিন সরকার (৮৫), একরামুল হক মিস্টার (৪০) সহ চারজন আহত হন।

খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতের মধ্যে একরামুল হক মিস্টারকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনার পর থানা পুলিশ মোখলেসুর রহমান সোনা ও আব্দুল জলিলকে আটক করেছে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহবুব আলম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মামলা হবে।