জামালপুর সদর উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা

জামালপুর সদর উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণার পর শপথ বাক্য পাঠ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্যতম কারণ বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে গত তিন বছর ধরে সারা জেলার মতো জামালপুর সদর উপজেলাতেও ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠে। গত দুই মাসে জামালপুর সদর উপজেলায় বাল্যবিয়ের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। সবদিক বিবেচনা করে এবং বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সকল মহলকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য ১৬ মার্চ জামালপুর সদর উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এ উপলক্ষে জামালপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন। সমাবেশে আওয়াজ ছিলো ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আমাদের অঙ্গীকার।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আকন্দ বাবু প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন তার বক্তব্যে দৃঢ়তার সাথে বলেন, কোনো কাজি যদি বাল্যবিয়ে নিবন্ধন করেন অথবা কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যদি একজন শিশুকে বয়স বাড়িয়ে নিবন্ধন করেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যৌন হয়ারানির বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

সমাবেশ শেষে কলেজছাত্রী শতাব্দী বাল্যবিয়েবিরোধী শপথবাক্য পাঠ করায়। এ সময় সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই হাত তুলে ‘বাল্যবিয়ে আর নয়’ এই অঙ্গীকার করেন। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, এনজিও কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।