ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরের নবনিযুক্ত জেলা কালচারাল অফিসার তমাল বোস জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে ২৬ অক্টোবর শেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ মাদারগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ধীনের শীষে ভোট দিলে ৩১ দফার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে : শামীম তালুকদার শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড সম্মাননা পেলেন বকশীগঞ্জ ইউএনও শাহ জহুরুল মাদারগঞ্জে বিএনপির মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা “আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজের সবার রাজনৈতিক দল করার অধিকার আছে” শেরপুরে জামায়াতের উপর বিএনপির হামলার অভিযোগ, আহত ২০, অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি বিএনপির বিনন্দেরপাড়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন মোল্লাপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব মহেশপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নান্দিনা তারুণ্য উদ্যমী সংঘ স্পোর্টিং ক্লাব

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০১৯ উপলক্ষে ৯ মার্চ এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আজ বিশ্বব্যাপী পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেও বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সেনাবাহিনী, আনসার, স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে এ দেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বে দুর্যোগ ঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ থেকে ‘চ্যাম্পিয়ন অভ্ দি আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। তাই এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি, হ্রাস করবে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি’ অত্যন্ত বাস্তবধর্মী ও যথার্থ হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সরকারি কর্মসূচি হিসেবে অনুমোদন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ‘বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও সিপিপিকে যৌথ কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি ভূমিকম্প ও বজ্রপাতের মতো দুর্যোগ বাংলাদেশের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দুর্যোগকালীন জানমালের ক্ষতি কমাতে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রচারণাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভূমিকম্প মহড়ার আয়োজন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা জরুরি। সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, স্থানীয় জনগণসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাক-দুর্যোগ প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকিহ্রাসে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

তিনি ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে নেয়া কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরের নবনিযুক্ত জেলা কালচারাল অফিসার তমাল বোস

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত : রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় ০৮:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০১৯
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০১৯ উপলক্ষে ৯ মার্চ এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আজ বিশ্বব্যাপী পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেও বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সেনাবাহিনী, আনসার, স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে এ দেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বে দুর্যোগ ঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ থেকে ‘চ্যাম্পিয়ন অভ্ দি আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। তাই এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি, হ্রাস করবে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি’ অত্যন্ত বাস্তবধর্মী ও যথার্থ হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সরকারি কর্মসূচি হিসেবে অনুমোদন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ‘বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও সিপিপিকে যৌথ কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি ভূমিকম্প ও বজ্রপাতের মতো দুর্যোগ বাংলাদেশের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দুর্যোগকালীন জানমালের ক্ষতি কমাতে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রচারণাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভূমিকম্প মহড়ার আয়োজন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা জরুরি। সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, স্থানীয় জনগণসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাক-দুর্যোগ প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকিহ্রাসে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

তিনি ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে নেয়া কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র : বাসস