ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে একমণ ধানের দামেও মিলছে না একজন ধানকাটা শ্রমিক বকশীগঞ্জে আগুনে পোড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার ছাত্রদলনেতা সাম্য হত্যার বিচার চায় সরিষাবাড়ীর ছাত্রদল মেলান্দহে আগুনে পুড়ে আশি বছরের বৃদ্ধার মৃত্যু ছাত্রদলনেতা সাম্য হত্যার বিচার চায় বকশীগঞ্জের ছাত্রদল বকশীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোচালকের মৃত্যু আওয়ামী লীগ নেত্রী ময়ুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, মাদারগঞ্জে মানববন্ধন জামালপুরে শিশুদের কল্যাণে উপদেষ্টা কমিটি গঠিত বকশীগঞ্জে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস চেয়ে আবেদন

সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীরের দাফন সম্পন্ন

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি আসরের পর জানাজা শেষে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। একুশে ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ আত্মীয়স্বজন এবং গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

সাংবাদিক শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পৃথক শোক প্রকাশ করেছেন।

পারিবারিকভাবে জানা গেছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রয়াতের মরদেহ তার পৈত্রিক বাড়ি গোড়ানে নেয়া হয়। পূর্ব গোড়ান মক্কা জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর আড়াইটায় প্রয়াতের মরদেহ তার কর্মস্থল প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) নেয়া হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারিরা প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিকাল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার মরদেহ নেয়া হয় ।

প্রেসক্লাবে জানাজা এবং মোনাজাত শেষে বিকালে শাহ আলমগীরের মরদেহ উত্তরা তার নিজ বাসভবনে নেয়া হয়। আসরের পর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে বায়তুল নূর মসজিদে জানাজা শেষে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়।

উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। এখানে তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। তিনি প্রথম আলোর যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীরের দাফন সম্পন্ন

আপডেট সময় ১১:১৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি আসরের পর জানাজা শেষে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। একুশে ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ আত্মীয়স্বজন এবং গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

সাংবাদিক শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পৃথক শোক প্রকাশ করেছেন।

পারিবারিকভাবে জানা গেছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রয়াতের মরদেহ তার পৈত্রিক বাড়ি গোড়ানে নেয়া হয়। পূর্ব গোড়ান মক্কা জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর আড়াইটায় প্রয়াতের মরদেহ তার কর্মস্থল প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) নেয়া হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারিরা প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিকাল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার মরদেহ নেয়া হয় ।

প্রেসক্লাবে জানাজা এবং মোনাজাত শেষে বিকালে শাহ আলমগীরের মরদেহ উত্তরা তার নিজ বাসভবনে নেয়া হয়। আসরের পর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে বায়তুল নূর মসজিদে জানাজা শেষে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়।

উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। এখানে তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। তিনি প্রথম আলোর যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সূত্র : বাসস