ডোয়াইলে শিশু সিয়ামের ঘাতক সোহেল রানা গ্রেপ্তার

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নে চাচার ক্ষুরের পোচে ভাতিজা সিয়ামকে (৮) হত্যার ঘটনায় ঘাতক চাচা সোহেল রানাকে ঘটনার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ক্ষুরের পোচে গুরুতর আহত সিয়ামের সহোদর ছোট বোন মীম (৭) সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা হাটবাড়ি কামারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর বাবা মুনসুর আলী বাংলারচিঠি ডটকমকে জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রূপার কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় তার দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে সিয়াম ও প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মীম। তখন তাদের চাচী গৃহশিক্ষক রূপা ঘরে ছিলেন না। এই সুযোগে আনোয়ার হোসেনের সহোদর ভাই সোহেল রানা ওই ঘরে ঢুকেই শিশু সিয়ামের গলায় ধারালো ক্ষুর দিয়ে পোচ দেয়। এতে সিয়াম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। একইভাবে মীমের বুকের বাম পাশে ক্ষুরের পোচ দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। মীম সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নৃশংস এ ঘটনা ঘটায় হোসেল রানা। ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে শিশু সিয়ামের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।

এদিকে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা হাটবাড়ি কামারপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় নিহত শিশুটির বাবা মো. মুনসুর আলী বাদী হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতেই সোহেল রানাসহ পাঁচজনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ঘটনার মূলহোতা সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের মাধ্যমে জামালপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।