সরিষাবাড়ীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর আত্মহত্যা

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় দশম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া খাতুন (১৫) গলায় উড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুলছাত্রী ওই গ্রামের দরিদ্র রিকশাভ্যানচালক মো. হুরমুজ আলীর মেয়ে। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া গ্রামের রিকশাভ্যানচালকের মেয়ে তানিয়া খাতুন স্থানীয় পোগলদিঘা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়তো। প্রতিদিনের মতো ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে সে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতে ফিরে যায়। বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার মা সনেখা বেগম বাড়িতে যান। তিনি ঘরে ঢুকতেই মেয়েকে গলায় উড়না পেচানো অবস্থায় ঘরের ধর্ণায় ঝুলতে দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের জানান। প্রতিবেশীরা দ্রুত তাকে ধর্ণা থেকে নামিয়ে স্থানীয় যমুনা সারকারখানার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনরা তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান।

স্কুলছাত্রী তানিয়া খাতুনের আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগও করা হয়নি। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. জওয়াহের হোসেন খান ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহের সুরতহাল করেন। কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশ মরদেহ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ না করায় মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।