বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : ঢাকা থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ দুর্বৃত্তরা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণ করেছে। খবর পাওয়ার পরই সেটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র‌্যাব। উড়োজাহাজের ভেতরে একজন সন্দেহভাজন অস্ত্রধারী পাইলটকে জিম্মি করে রেখেছে বলে জানা গেছে। খবর ডেইলি বাংলাদেশের।

অবতরণের পরই দ্রুত ফ্লাইটের সকল যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার পর রানওয়েতেই অবস্থান করছে উড়োজাহাজটি। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিকেল পৌনে ছয়টায় জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ নং ফ্লাইটটি দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিভিল এভিয়েশন সচিব মহিবুল হক। তিনি বলেন, বিমানটির মধ্যে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি ও দুইজন ক্রু রয়েছেন। সন্দেহভাজনের হাতে অস্ত্র রয়েছে। ঘটনার পরপরেই র‌্যাবের একাধিক গাড়ি বিমানবন্দরের মধ্যে প্রবেশ করেছে। বিমানবন্দরটি বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে।

ওই বিমানের একজন যাত্রী জানিয়েছেন, উড়োজাহাজের ভেতরে একজন যাত্রীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তিনি বিদেশি। ভেতরে একটি গুলির শব্দ শোনা গেছে। কেউ একজন তাতে আহত হতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, প্রথমে কেবিন ক্রুদের একজন ওই বিদেশি ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ করলে পাইলটকে জানান। পাইলট কোনো ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নেন।

সূত্রটি জানায়, ফ্লাইটটি ঢাকা দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৪৭ জন। ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন ও বেশিরভাগ যাত্রী নিরাপদে নেমে যেতে পারলেও একাধিক কেবিন ক্রু জিম্মি রয়েছেন বলে জানা গেছে। একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিমানের ভেতরেই রয়েছেন। অস্ত্রধারী নিজেও ভেতরে অবস্থান করছেন।

এদিকে রানওয়েতে বিমানটিকে ঘিরে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন সসদ্যরা রয়েছেন সেখানে। বাইরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরে সকল ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিমানটিতে থাকা সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল জানিয়েছেন, অস্ত্র নিয়ে পাইলটের দিকে উদ্ধত হচ্ছিলো ওই সন্ত্রাসী। ফলে ফ্লাইটটি দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট এবং ক্রুরা। তবে বিমানটিতে অবস্থানরত সকল যাত্রীকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ