উপজেলা নির্বাচনে যেখানেই অনিয়ম হবে সেখানেই ভোট বন্ধ হবে : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার খান মো. নুরুল হুদা (সংরক্ষিত ছবি)

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে যেখানেই অনিয়ম হবে সেখানেই ভোট বন্ধ হবে। অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে উপজেলা নির্বাচন বন্ধ হবে।

৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, যদি কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তা মনে করেন, তার সম্পূর্ণ উপজেলায় নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। তবে সেটা বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। কমিশন সেটা বন্ধ করে দিতে পারবেন। আমরা সে অবস্থানে থাকতে চাই। যদি কখনো কোনো জায়গায় কোনো প্রার্থীর, দলের বা কারো অতিরিক্ত নিষ্প্রয়োজনীয় আইন ব্যত্যয়কারী কোনো ঘটনা সৃষ্টি করে বা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণের বহির্ভূত হয়ে যাবে এমন কিছু হলে পুরো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ হবে। কিন্তু নির্বাচনে কোনো রকম অনিয়মের সঙ্গে আপোষ করা যাবে না।

তিনি বলেন, মানুষ ভোট দেবে। ভোটারের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হবে। প্রার্থী কোন দলের, কোন ধর্মের, কোন বর্ণের সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। অনেকে বলেন নির্বাচনের প্রার্থী মেট্রিকের নিচে, তারা দেখতে ভালো না। এটাতো কোনো কথা না। ভোটার যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই হবেন তাদের নির্বাচিত প্রার্থী।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, এজেন্টদেরকে নিয়ে সব সময় আপনাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট দেন সে জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করবেন। এজেন্টরা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এজেন্ট থাকা এবং যাওয়ার দায়িত্ব তো আপনারা নিতে পারেন না। সে প্রার্থীর বিষয়। প্রার্থীদেরকে উৎসাহিত করবেন যাতে তারা এজেন্ট দেয়। এজেন্টরা যাতে সেখানে নিরাপদে নির্ভয়ে থাকতে পারে এটা দেখবেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনেকেই বলেন, আমাদের এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। আপনারা যদি না পাঠান তাহলে কেন্দ্রে এজেন্ট কীভাবে যাবে? পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে অভিযোগ আসে বেশি। যে তাদেরকে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয় না। এর অনেকগুলোই সঠিক না। অভিযোগগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক না। কিন্তু আপনাদেরকে নিশ্চয়তা দিতে হবে নির্ভয়ে যেনো তারা কেন্দ্রে যেতে পারে। এটা আপনাদের জন্য সুবিধা। নির্বাচন পরিচালনায় এজেন্ট অত্যন্ত জরুরি। কারণ কোনো অনিয়ম যদি হয়, তাহলে সে দেখতে পারবেন।

সিইসি আরো বলেন, বলা হয়ে থাকে ভোটারদেরকে ভোট দিতে আসতে দেয়া হয় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকে এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবেন। কোনো জায়গায় ভয়ভীতি দেখানো হলে তা নজরদারিতে রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এসব জায়গায় বাড়তি সতর্কতায় থাকতে বলবেন। যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে, বিনা বাধায় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

নির্বাচনের আগে, পরে এবং নির্বাচনের দিন যাতে কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও নির্দেশনা দেন সিইসি।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ