একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (রংপুর-৬) এবং মো. ফজলে রাব্বী মিয়া (গাইবান্ধা-৫) একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত হবার পর বৈঠক মুলতবি করা হয়। পরে সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির চেম্বারে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রথমে নবনির্বাচিত স্পিকারকে এবং পরে ডেপুটি স্পিকারকে শপথ পাঠ করান।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদে প্রথম অধিবেশনে ১ম দিনে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শুরুতেই দিনের কার্যসূচির প্রথমেই স্পিকার নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়।

এ সময় ডেপুটি স্পিকার একাদশ সংসদের স্পিকার প্রার্থী হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর মনোনয়নপত্র তার কাছে জমা আছে বলে ঘোষণা করেন। এসময় স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।

স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী একমাত্র প্রার্থী থাকায় বৈঠকের সভাপতি ডেপুটি স্পিকার বলেন, অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সংসদ কার্যপ্রণালী বিধির-৮ ধারা অনুযায়ী প্রস্তাবটি ভোটে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকার প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা কন্ঠভোটে সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।

এর মধ্যদিয়ে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর দশম জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন শেষ হলো এবং একই সাথে একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে শপথ গ্রহণ ও দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সংসদ অধিবেশন ২০ মিনিটের মুলতবির পর নবনির্বাচিত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে পুনরায় শুরু হলে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ পদে মো. ফজলে রাব্বী মিয়াকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে হুইপ আতিউর রহমান আতিক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন হুইপ ইকবালুর রহিম। তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তবে সংসদ কার্যপ্রণালী বিধির-৮ ধারা অনুযায়ী প্রস্তাবটি ভোটে দেয়া হলে কন্ঠভোটে তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
সূত্র : বাসস