
মদন মোহন ঘোষ, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বেগুনের কেজি দু’টাকা! আবাদের খরচ না উঠায় হতাশ চাষীরা। ভরা মৌসুমে এককেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে দু’টাকায়। বাজারে দাম না থাকায় অনেক কৃষক তাদের বেগুন ক্ষেতেই রেখে দিচ্ছেন গোখাদ্য হিসাবে।
দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার বেগুনের সুনাম থাকায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বড় জাতের গোল তাল বেগুন, চিকন লম্বা শিংনাথ, বড় সাদা সুপারগ্রিন, ছোট জাতের ঝুনকা, উত্তরা জাতের বেগুনের চাহিদা ব্যাপক।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়. দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ৭ হাজার বেগুনচাষী রয়েছে। ৩৫০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয় ৩০-৩২ মেট্রিক টন। প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১৫-১৮ হাজার টাকা। ১০ টাকা কেজি দরে ৬০-৭০ হাজার টাকা ভাল হওয়ার কথা।
দেওয়ানগঞ্জ পৌর হাটে বেগুন বিক্রি করতে আসা আহাম্মদ আলী বলেন, একবিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করতে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হইছে। ৩ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারি নাই। লাভ তো দূরের কথা, হাটে বেগুন নিয়ে আসার রিকশাভাড়াও উঠে না।
কৃষক বাবুল বলেন, এবার বেগুনের ফলন ভাল। বেশি হওয়ায় বাজারের দাম পরে গেছে খরচ উঠছে না। ক্ষেতের বেগুন ক্ষেতেই রেখেছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এর কারণে চাষীরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকায় বেগুন সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় এসব বেগুন সংরক্ষণেরও সুযোগ নেই।
বাংলার চিঠি ডেস্ক : 


















