বাংলাদেশে যক্ষ্মারোগীর চিকিৎসার সাফল্যের হার শতকরা ৭৭ ভাগ

নাটাবের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপ-সিভিল সার্জন চিকিৎসক মুন্তাকিম মাহমুদ সাদী। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

যক্ষ্মা রোগ একটি প্রাচীন প্রাণঘাতি রোগ হলেও বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসার সাফল্যের হার শতকরা ৭৭ ভাগ। যক্ষ্মা একটি প্রাচীন প্রাণঘাতি ব্যাধি। আগে এ রোগের চিকিৎসা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে এ রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়ে থাকে। যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি-নাটাব জামালপুর জেলা শাখা ৬ ডিসেম্বর দুপুরে শহরের তমালতলা এলাকায় একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

নাটাব জেলা শাখার সভাপতি তানভীর আহমেদ হীরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-সিভিল সার্জন চিকিৎসক মুন্তাকিম মাহমুদ সাদী। সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন জামালপুর বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আহাম্মদ আলী আকন্দ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসাইন ও জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী।

প্রধান আলোচক যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আহাম্মদ আলী আকন্দ জানান, যক্ষ্মা একটি জীবাণু সংক্রামক রোগ। মানবদেহের ফুসফুসে এবং ফুসফুস বহির্ভূত দেহের যেকোনো স্থানে যক্ষ্মার জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। নিয়মিত ও পূর্ণ মেয়াদের চিকিৎসায় যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভালো হয়। তাই সবার আগে প্রয়োজন এই রোগ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকা।

একটি সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো জানান, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছরের কম শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯ জন। সব মিলিয়ে দেশে যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে শতকরা ৪৭ ভাগ। এখনও শতকরা ৩৩ ভাগ রোগী চিকিৎসার আওতায় আসেনি। তবে সারা বিশ্বের মধ্যে যেখানে যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসার সাফল্যের হার শতকরা ৫৪ ভাগ, সেখানে বাংলাদেশের সাফল্যের হার শতকরা ৭৭ ভাগ।

সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ঢাকা থেকে সম্প্রচারিত বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নেন।