সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১০

সরিষাবাড়ীতে সংঘর্ষে পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও যুবলীগ নেতাদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ১ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ধারাবর্ষা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান, মাহবুবুর, প্রত্যক্ষদর্শী আবুল মন্ডল, দুলু আকন্দসহ অনেকেই জানান, ১ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেলে বহিরাগত কিছু লোক দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধারাবর্ষা বাজারে মহড়া দেয়। তারা বিএনপিবিরোধী শ্লোগান দিতে থাকলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে স্থানীয় কোচিং শিক্ষক আশরাফ ফারুকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

এ সময় বাজারের বিএনপিকর্মী মাহবুব তালুকদারের কাপড়ের দোকান, মেহেদি হাসানের ফার্মেসি ও মিজানুর রহমানের কসমেটিকস দোকান ভাঙচুর করা হয়। এদিকে বিএনপির কর্মীরা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলামেরসহ তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।

সরিষাবাড়ীতে সংঘর্ষে হামলার শিকার দোকান। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুড়িয়ে দেওয়া মোটরসাইকেল তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে। ধারাবর্ষা বাজারে তারা বিনা উস্কানীতে হামলা চালায়।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, ‘বাজারে পালা গান চলছিল, তখন মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে মোটরসাইকেলে আগুন ও দোকান ভাঙচুরে কে বা কারা জড়িত তা খোঁজে বের করা হবে।