ঢাকায় তোষাখানার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ১৫ নভেম্বর রাজধানীর বিজয় স্মরণীতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে নবনির্মিত তোষাখানা’র উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের কেবল স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি তিনি আমাদের মর্যাদাও দিয়ে গেছেন। এই মর্যাদাকে আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে তাঁর সরকারের শাসনে দেশের জনগণের জীবন-মান উন্নত হয়েছে এবং তিনি এই জীবন-মানের আরো উন্নয়ন ঘটাতে চান।

‘আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবো এবং ওই সময়ের মধ্যে দেশকে আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে গড়ে তুলবো। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ,’ একথা বলেন তিনি।

বিজয় স্মরণীতে রাষ্ট্রীয় তোষাখানার ৫ তলার অত্যাধুনিক ভবনটির আয়তন ৫০ হাজার স্কয়ার ফুট। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই তোষাখানায় দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রি পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং কর্মকর্তাগণ যে সব রাষ্ট্রীয় উপহার পাবেন তা সংরক্ষণ করা হবে।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো.নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সেনাবাহিনী প্রকৌশল বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, নৌ বাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধানগণ এবং উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রি পরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

রাষ্ট্রীয় পদাধিকারীগণের দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত উপহার সামগ্রি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ উপহার সামগ্রি দেশের সম্পত্তি এবং দেশের সন্মান ও মর্যাদার প্রতীক। কাজেই এসবকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে তার নামে এবং নৌকার প্রতীক সম্বলিত অনেক উপহার, বিভিন্ন দুর্লভ আলোকচিত্র বিএনপি-জামাত সরকারের সময়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সেনবাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই তোষাখানার নির্মাণকাজ যথাযথভাবে সম্পন্নের জন্য ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীনতার পরপরই দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য তোষাখানা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নির্দেশেই ‘তোষাখানা আইন ১৯৭৪’ (রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা) প্রণীত এবং বঙ্গভবনে এই তোষাখানা স্থাপন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তিতে এই তোষাখানার জন্য পৃথক ভবননের প্রয়োজন অনুধাবন করায় তাঁর নির্দেশনাতেই রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রি সর্বসাধারণের প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে পৃথক এই নান্দনিক তোষাখানা ভবন নির্মাণ করা হয়।
সূত্র : বাসস