ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগনেতা বিল্লাল হোসাইনের মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার

বিল্লাল হোসাইন সরকার

বিল্লাল হোসাইন সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে’ এই বাণীকথায় অনুপ্রাণিত হয়ে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বিল্লাল হোসাইন সরকার (২৪) মরণোত্তর চক্ষুদান করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি জেলার মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌরসভার হাজরাবাড়ী গ্রামের দম্পতি আলহাজ হযরত আলী ও সাহেরা বেগমের ছেলে।

বিল্লাল হোসাইন সরকার গত জুলাই মাসে ঢাকায় সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতিতে স্বেচ্ছায় চুক্তি স্বাক্ষর করে একজন তালিকাভুক্ত চক্ষুদাতা হিসেবে তার নাম নিবন্ধন করেন। জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে তিনি চলতি বছর অর্থনীতি বিষয়ে বিএসএস (সম্মান) শেষ বর্ষের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত রয়েছেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভালোবাসি জামালপুর’ এর সমন্বয়কারী, মাদক ও ইভটিজিং প্রতিরোধক জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তরুণ প্রজন্মের সংগঠন ‘নির্ভীক’ এর কেন্দ্রিয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

এক প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রলীগনেতা বিল্লাল হোসাইন সরকার বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘আমার চোখে পৃথিবী দেখুক অন্ধ মানুষটি- সন্ধানীর এই স্লোগানটি আমাকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করে। তাই আমার দুটি চোখ দান করার জন্য সিদ্ধান্ত নেই। আমার দুটি চোখ মৃত্যুর পরও নিশ্চয় কারো কাজে লাগবে। আমি চাই আমার চোখে কেউ দেখবে ভালো স্বপ্ন। কেউ দেখবে সুন্দর এই পৃথিবী। দেখবে তার প্রিয় স্বজনদের। মৃত্যুর পরও আমি বেঁচে থাকতে চাই মানুষের মাঝে।’

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগনেতা বিল্লাল হোসাইনের মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার

আপডেট সময় ০৫:০০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮
বিল্লাল হোসাইন সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে’ এই বাণীকথায় অনুপ্রাণিত হয়ে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বিল্লাল হোসাইন সরকার (২৪) মরণোত্তর চক্ষুদান করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি জেলার মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌরসভার হাজরাবাড়ী গ্রামের দম্পতি আলহাজ হযরত আলী ও সাহেরা বেগমের ছেলে।

বিল্লাল হোসাইন সরকার গত জুলাই মাসে ঢাকায় সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতিতে স্বেচ্ছায় চুক্তি স্বাক্ষর করে একজন তালিকাভুক্ত চক্ষুদাতা হিসেবে তার নাম নিবন্ধন করেন। জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে তিনি চলতি বছর অর্থনীতি বিষয়ে বিএসএস (সম্মান) শেষ বর্ষের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত রয়েছেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভালোবাসি জামালপুর’ এর সমন্বয়কারী, মাদক ও ইভটিজিং প্রতিরোধক জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তরুণ প্রজন্মের সংগঠন ‘নির্ভীক’ এর কেন্দ্রিয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

এক প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রলীগনেতা বিল্লাল হোসাইন সরকার বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘আমার চোখে পৃথিবী দেখুক অন্ধ মানুষটি- সন্ধানীর এই স্লোগানটি আমাকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করে। তাই আমার দুটি চোখ দান করার জন্য সিদ্ধান্ত নেই। আমার দুটি চোখ মৃত্যুর পরও নিশ্চয় কারো কাজে লাগবে। আমি চাই আমার চোখে কেউ দেখবে ভালো স্বপ্ন। কেউ দেখবে সুন্দর এই পৃথিবী। দেখবে তার প্রিয় স্বজনদের। মৃত্যুর পরও আমি বেঁচে থাকতে চাই মানুষের মাঝে।’