বিএনপি-জামাত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল : প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম

স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী ॥
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, বিএনপি-জামাতসহ স্বাধীনতার বিরোধীরা দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্যদিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যয় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মওকুফ ও তাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা হয়েছে।

২৭ জুলাই বিকেলে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর, মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী বিচারপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত আইনজীবী মতিয়র রহমান তালুকদারের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এ সব কথা বলেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও আইনজীবী মতিয়র রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদ আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে মতিয়র রহমান তালুকদার কলেজ মাঠে এ স্মরণসভার আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন ভিক্ষুকের জাতি নয়, আমরা এখন আর ভিক্ষা নিই না, দিই। আগে যারা বিদেশে কাজ করতে গিয়ে ভিক্ষুকের জাতি বলে মাথানত করে থাকতো; আজ তারাই মাথা উচু করে চাকরি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির স্বার্থে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৯ ঘন্টাই কাজ করেন। যার কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়; বাস্তব। দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১১ কোটি মানুষই এখন স্মার্টফোন-ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এই দিক থেকে বাংলাদেশ আজ বৃটেনের চেয়েও এগিয়ে।

সরিষাবাড়ীর রাজনীতি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের গ্রুপিংয়ের জন্য ইতোপূর্বে নৌকার প্রতীক হারানো হয়েছে, লাঙলের প্রার্থী এমপি বানানো হয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে এমপি প্রার্থী ও এমপি হিসেবে দেখতে চাইলে সব গ্রুপিংকে একত্র হতে হবে। নেত্রী মনে করলে নৌকার প্রতীক মনোনয়ন পেতে পারে।

বীর প্রতীক আব্দুল হাকিম স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রয়াত মতিয়র রহমান তালুকদারের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য চিকিৎসক মুরাদ হাসানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপ অধিনায়ক সুজাত আলী ফকির, প্রয়াত মতিয়র রহমান তালুকদারের ভাই আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু প্রমুখ।