খালেদা জিয়া অসুস্থতার কথা বলে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন : ড. হাছান মাহমুদ

বাংলার চিঠি ডটকম ডেস্ক॥
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার কথা বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন।

আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ ১৫ জুলাই দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) গুরুতর অসুস্থ হলে যে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতেন। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার প্রস্তাব করলেও তাতে রাজি হননি। তিনি ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া কোথাও চিকিৎসা নেবেন না।’

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গৃহপরিচারিকা নিয়ে জেলে রয়েছেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক যেমন রয়েছে, তেমনি একজন সরকারি চিকিৎসকও রয়েছেন। তারা নিয়মিত তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তার জন্য একজন নার্সও রয়েছেন, যে সার্বক্ষণিকভাবে তাকে সেবা দিয়ে আসছেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি’র অংশগ্রহণের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে, কি নেবে না। তাদের কেউ বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না, আবার কেউ কেউ বলেন, খালি মাঠে গোল দিতে দিবেন না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়হীনতার জন্যই তারা কোন পথে যাবে তা ঠিক করতে পারছে না। লক্ষ্য ঠিক করে এগিয়ে যান, তা না হলে বিএনপি চোরা গলিতে হারিয়ে যাবে।

ড. হাছান বলেন, আমরা খালি মাঠে কোন গোল দিতে চাই না, ভাল খেলেই জিততে চাই। আসুন নির্বাচনে, দেখুন কয় গোল খান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের আগামী নির্বাচন নিয়ে মানসিক ও শারিরীকভাবে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তার এ ধরণের বক্তব্য প্রমাণ করে বিএনপি আগামী নির্বাচনকে ঠেকাতে আবারও জ্বালাও-পোড়াওয়ের পথ বেছে নিতে পারে। কিন্তু দেশের মানুষ এবার আর তাদের ছেড়ে দিয়ে কথা বলবে না।

কোটা বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখন উদ্বিগ্ন অভিবভাবক হিসেবে মাঠে নেমেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারলে তারা উদ্বিগ্ন হন না। তাদের মধ্যে কেউ চীনপন্থী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা করেছিলেন, আবার কেউ পাকিস্তানপন্থী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়কে সচল রাখার অপচেষ্টাও করেছিল। তারাই এখন আবারো দেশে ওয়ান ইলেভেনের পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, তারা পরিচয় গোপন করে মাঠে নেমেছে। তাদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। প্রয়োজনে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।

জোটের সহ-সভাপতি মোবারক আলী শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ্ বেগম কবরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু, আবাহনী লিমিটেড-এর পরিচালক শেখ জাহাঙ্গীর আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বাসস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *