জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় ঝিনাই নদে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া কুলসুম (৮) নামের এক শিশুর মরদেহ ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ ঘটনায় সহোদর ভাই-বোনসহ চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে বৈশাখী (১০) নামের আরেক শিশু।
১ নভেম্বর, শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের চরভাটিয়ানী আনোয়ার সরকার বাড়ির ঘাট এলাকা থেকে কুলসুমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কুলসুম ওই গ্রামের আজাদ মিয়ার মেয়ে।
মাদারগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়্যারহাউজ পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার দিন ৩১ অক্টোবর, শুক্রবার তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মত অভিযান শুরু করে ডুবুরি দল। প্রায় দুই ঘণ্টা তল্লাশির পর ১ নভেম্বর সকালে কুলসুমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ আরেক শিশুর সন্ধান এখনও চলছে।
তিনি আরও জানান, ৩১ অক্টোবর বিকালে ছয় শিশু একসঙ্গে ঝিনাই নদে গোসল করতে নামে। তাদের মধ্যে ইয়াসিন নামের এক শিশু সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকি পাঁচ শিশু ডুবে যায়। পরে শ্যামগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
অভিযানের একপর্যায়ে চর ভাটিয়ানী মধ্যপাড়া গ্রামের দুদু মিয়ার দুই সন্তান পলি আক্তার (১২) ও আবু হোসেন (৮), এবং সরিষাবাড়ী উপজেলার বাউশী গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে সায়েবা আক্তারের (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পাঁচ শিশুর মধ্যে কুলসুম (৮) ও বৈশাখী (১০) নিখোঁজ থাকে এবং সন্ধ্যা নেমে পড়ায় ওই দিনের মত উদ্ধার কাজ সমাপ্তি করে ফায়ার সার্ভিস।
খাদেমুল ইসলাম : নিজস্ব প্রতিবেদক, মাদারগঞ্জ, বাংলারচিঠিডটকম 








