ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরিষাবাড়ীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলা মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২ ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে প্রয়াত যুবদলনেতা বুলবুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত ৯ ঘন্টা পর অপহৃতা বন্যাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার ঐতিহ্য বিএনপি ও শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় দুই নেতার সুস্থতা কামনায় জামালপুরে দোয়া মাহফিল জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ডিসিকে স্মারকলিপি মেলান্দহে পুষ্টি সমন্বয় কিমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

তামাক ব্যবহারে দেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়

ঢাকা: ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল: গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। কিন্তু এই মৃত্যুর দায়ভার তামাক কোম্পানি কখনই স্বীকার করেনা। তামাকজনিত মৃত্যু আড়াল করতে এবং ব্যবসা বাড়াতে নানাধরনের কূট-কৌশল অবলম্বন করে তারা।

৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল: গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) সাংবাদিকদের নিয়ে এ্ কর্মশালার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সম্প্রতি আইন সংশোধনকে বাধাগ্রস্ত করতে তামাক কোম্পানিগুলো অর্থ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরারর চিঠি দিয়েছে। আইন সংশোধন হলে সরকারের রাজস্ব হারানোসহ বেশকিছু ভিত্তিহীন তথ্য চিঠিতে তুলে ধরেছে তারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হওয়ার পর পরবর্তী দুই অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ৩৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। একইভাবে, ২০১৩ সালে সংশোধনীর পর পরবর্তী দুই অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ২৫ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ৪৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।

কর্মশালায় আরও জানানো হয়, আইন সংশোধনের সাথে খুচরা বিক্রেতাদের কর্মসংস্থান হারানোর তেমন কোন সম্পর্ক নাই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার জরিপ প্রতিবেদন ২০২১ অনুযায়ী, দেশে সব ধরনের খুচরা ব্যবসায়ে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫ লাখ ৩৯ হাজার। তবে খাদ্য, পানীয় এবং তামাকপণ্য বিক্রি করে এরকম খুচরা দোকানের সংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪১, যারা অন্যান্য পণ্যের সাথেই তামাকপণ্য বিক্রি করে থাকে।

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর জাতীয় বাজেটকে প্রভাবিত করতে সিগারেট কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনকে ব্যবহার করে থাকে। মালিকদের অর্থায়নে বিড়ি শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে বিড়ির মূল্য না বাড়ানোর আন্দোলন করে। এছাড়া সুবিধাভোগীদের দিয়ে কলাম ও নিবন্ধ প্রকাশ, ডিও লেটার প্রদান ইত্যাদি কূট-কৌশল অবলম্বন করে কোম্পানিগুলো।

কর্মশালায় বিসিআইসি-এর সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আকতার মালা, আত্মা’র কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী, এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের, মো. হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সরিষাবাড়ীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলা

তামাক ব্যবহারে দেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়

আপডেট সময় ১০:৩২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। কিন্তু এই মৃত্যুর দায়ভার তামাক কোম্পানি কখনই স্বীকার করেনা। তামাকজনিত মৃত্যু আড়াল করতে এবং ব্যবসা বাড়াতে নানাধরনের কূট-কৌশল অবলম্বন করে তারা।

৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল: গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) সাংবাদিকদের নিয়ে এ্ কর্মশালার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সম্প্রতি আইন সংশোধনকে বাধাগ্রস্ত করতে তামাক কোম্পানিগুলো অর্থ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরারর চিঠি দিয়েছে। আইন সংশোধন হলে সরকারের রাজস্ব হারানোসহ বেশকিছু ভিত্তিহীন তথ্য চিঠিতে তুলে ধরেছে তারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হওয়ার পর পরবর্তী দুই অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ৩৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। একইভাবে, ২০১৩ সালে সংশোধনীর পর পরবর্তী দুই অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ২৫ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ৪৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।

কর্মশালায় আরও জানানো হয়, আইন সংশোধনের সাথে খুচরা বিক্রেতাদের কর্মসংস্থান হারানোর তেমন কোন সম্পর্ক নাই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার জরিপ প্রতিবেদন ২০২১ অনুযায়ী, দেশে সব ধরনের খুচরা ব্যবসায়ে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫ লাখ ৩৯ হাজার। তবে খাদ্য, পানীয় এবং তামাকপণ্য বিক্রি করে এরকম খুচরা দোকানের সংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪১, যারা অন্যান্য পণ্যের সাথেই তামাকপণ্য বিক্রি করে থাকে।

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর জাতীয় বাজেটকে প্রভাবিত করতে সিগারেট কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনকে ব্যবহার করে থাকে। মালিকদের অর্থায়নে বিড়ি শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে বিড়ির মূল্য না বাড়ানোর আন্দোলন করে। এছাড়া সুবিধাভোগীদের দিয়ে কলাম ও নিবন্ধ প্রকাশ, ডিও লেটার প্রদান ইত্যাদি কূট-কৌশল অবলম্বন করে কোম্পানিগুলো।

কর্মশালায় বিসিআইসি-এর সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আকতার মালা, আত্মা’র কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী, এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের, মো. হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।