শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঁচ মাসের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আনার আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে কয়েক হাজার দুষ্কৃতিকারী শেরপুর জেলা কারাগারে আক্রমণ করে। এ সময় আক্রমণকারীরা জেলা কারাগারের বিবিধ স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধনসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় ৫১৮ জন কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
জেল থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি, শেরপুর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এবং শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা পলাতক কয়েদিদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে আসছে র্যাব-১৪। ইতিমধ্যে পলাতক আসামিদের কয়েকজন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
র্যাব জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক কয়েদি (নম্বর ৭৮৭৭/এ) আনার আলী (৪২) শেরপুর জেলা সদর উপজেলার বয়রা পরানপুর এলাকায় অবস্থান করছেন। ওই তথ্যের ভিতিতের ২৯ অক্টোবর ১টার দিকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল শেরপুর জেলার সদর উপজেলা বয়রা পরানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় পলাতক কয়েদি আনার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মধ্য বয়রা গ্রামের আজিত উল্লাহ শেখের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলায় (নম্বর ৯৪/২৪) তিনি পাঁচ মাসের সাজাপ্রাপ্ত এবং ১০০ টাকার অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ১০ দিনের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক কয়েদি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে ঘটনার দিন তিনি অন্যান্য হাজতি ও কয়েদিদের সাথে কৌশলে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যান এবং শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকেন বলে স্বীকার করেছেন। তাকে শেরপুর সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জামালপুর ক্যাম্পের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফা বেগম স্বাক্ষরতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।