ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদারগঞ্জে ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করেছে ছাত্রদল বকশীগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে শুকনো খাবার বিতরণ জামালপুর যৌনপল্লী যেন এই শহরের অন্ধকারবেষ্টিত এক নির্মমতার উদাহরণ জামালপুরে ৫ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল জামালপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত মাদারগঞ্জে হকার্স মার্কেটে আগুন, ২১ দোকান পুড়ে ছাই জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ৪, আহত ৪ গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : সরিষাবাড়ীতে আনন্দ শোভাযাত্রা, দোয়া মাহফিল শেরপুরে জোরপূর্বক জমি ও দোকানপাট দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন আমরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছি : এমপি প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলাম

ইসলামপুরে যমুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের দাবি

যমুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ রাস্তা নির্মাণের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

যমুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ রাস্তা নির্মাণের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর বামতীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে ১৯ জানুয়ারি মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, প্রতি বর্ষাকালে বন্যার পানির স্রোতে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাইলিংয়ে ধসসহ বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। যমুনার বামতীরে বাঁধটি নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও ঘরবাড়িসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে বেশি বন্যা কবলিত এলাকা ইসলামপুর উপজেলা।

ইসলামপুরকে নদীভাঙন থেকে রক্ষাকবজ যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ওপর স্থায়ী বাঁধ না থাকায় যমুনার ফুঁসে ওঠা পানি পাইলিংয়ের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। পানির স্রোতে নির্মিত যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বিভিন্ন স্পটে পাইলিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। এছাড়াও যমুনা বামতীর সংরক্ষণ পাইলিং উপচে পানি প্রবল স্রোতে ও বালুতে উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর ইউনিয়ন বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্ড ও ঘরবাড়ি-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। যমুনার বাম তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ বন্যা চলে গেলেও ক্ষত নিয়ে সারা বছর মানবেতর জীবন যাপন করে।

যমুনার বামতীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে এলাকার প্রায় ২০ হাজার একর জমির ফসলসহ বাড়ি-ঘর, রাস্তা ও সেতু-কালভার্ট বন্যার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে। গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া পর্যন্ত যমুনার বাম তীরে ৮ কিলোমিটার বাঁধ কাম রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।

চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম জানান, যমুনার ভাঙ্গন থেকে বাঁচাতে যমুনার বামতীরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলিং নির্মাণ করেছেন সরকার বাহাদুর। কিন্তু বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় প্রতিবছরই যমুনার পানির চাপে পাইলিংসহ রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাঁধটি নির্মাণ হলে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ঘর-বাড়িসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করেছে ছাত্রদল

ইসলামপুরে যমুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের দাবি

আপডেট সময় ০৬:২৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
যমুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ রাস্তা নির্মাণের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর বামতীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে ১৯ জানুয়ারি মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, প্রতি বর্ষাকালে বন্যার পানির স্রোতে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাইলিংয়ে ধসসহ বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। যমুনার বামতীরে বাঁধটি নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও ঘরবাড়িসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে বেশি বন্যা কবলিত এলাকা ইসলামপুর উপজেলা।

ইসলামপুরকে নদীভাঙন থেকে রক্ষাকবজ যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ওপর স্থায়ী বাঁধ না থাকায় যমুনার ফুঁসে ওঠা পানি পাইলিংয়ের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। পানির স্রোতে নির্মিত যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বিভিন্ন স্পটে পাইলিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। এছাড়াও যমুনা বামতীর সংরক্ষণ পাইলিং উপচে পানি প্রবল স্রোতে ও বালুতে উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর ইউনিয়ন বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্ড ও ঘরবাড়ি-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। যমুনার বাম তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ বন্যা চলে গেলেও ক্ষত নিয়ে সারা বছর মানবেতর জীবন যাপন করে।

যমুনার বামতীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে এলাকার প্রায় ২০ হাজার একর জমির ফসলসহ বাড়ি-ঘর, রাস্তা ও সেতু-কালভার্ট বন্যার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে। গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া পর্যন্ত যমুনার বাম তীরে ৮ কিলোমিটার বাঁধ কাম রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।

চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম জানান, যমুনার ভাঙ্গন থেকে বাঁচাতে যমুনার বামতীরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলিং নির্মাণ করেছেন সরকার বাহাদুর। কিন্তু বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় প্রতিবছরই যমুনার পানির চাপে পাইলিংসহ রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাঁধটি নির্মাণ হলে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ঘর-বাড়িসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে।