ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ডিসিকে স্মারকলিপি মেলান্দহে পুষ্টি সমন্বয় কিমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর প্রধান শিক্ষক পলাতক সরিষাবাড়ীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন, উদ্ধার করল পুলিশ জামালপুরে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করার দাবি শিক্ষার্থীদের, ডিসি স্মারকলিপি নেননি জামালপুরে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি করতে হলে তারেক জিয়ার নামেই স্লোগান দিতে হবে : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ শেরপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ অনুষ্ঠিত জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদে শাকিলের প্রার্থিতা ঘোষণা সরিষাবাড়ীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত

প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেনের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেনের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রবীণ আওয়ামী লীগনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক প্রাদেশিক আইন পরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী আশরাফ হোসেনের মরদেহ ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার পাখিমারা সরকারবাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

পরিবার সূত্র জানায়, ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বকশীগঞ্জের সরকারবাড়ি প্রাঙ্গণে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠানের আগে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ স ম জামশেদ খোন্দকার ও বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেন ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়েসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। তিনি ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোফাখ্খার হোসেন খোকনের বাবা।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেন ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন শাস্ত্রে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে দীর্ঘদিন ময়মনসিংহে আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে রয়েছে তাঁর অনেক অবদান। ১৯৫৮ সালে গঠিত ইস্ট বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম নেতা এবং বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ (বর্তমানে জামালপুর-১) থেকে নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গণপরিষদ সদস্যও ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সংবিধান অনুমোদনকারীদের অন্যতম।

জামালপুর জেলা ঘোষিত হলে তিনিই প্রথম জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন জামালপুর মহকুমা শাখার সহ-সভাপতি এবং একই সময়কালে তিনি দেওয়ানগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ডিসিকে স্মারকলিপি

বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত

আপডেট সময় ০৫:৩৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেনের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রবীণ আওয়ামী লীগনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক প্রাদেশিক আইন পরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী আশরাফ হোসেনের মরদেহ ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার পাখিমারা সরকারবাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

পরিবার সূত্র জানায়, ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বকশীগঞ্জের সরকারবাড়ি প্রাঙ্গণে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠানের আগে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ স ম জামশেদ খোন্দকার ও বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেন ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়েসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। তিনি ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোফাখ্খার হোসেন খোকনের বাবা।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেন ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন শাস্ত্রে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে দীর্ঘদিন ময়মনসিংহে আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে রয়েছে তাঁর অনেক অবদান। ১৯৫৮ সালে গঠিত ইস্ট বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম নেতা এবং বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ (বর্তমানে জামালপুর-১) থেকে নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গণপরিষদ সদস্যও ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সংবিধান অনুমোদনকারীদের অন্যতম।

জামালপুর জেলা ঘোষিত হলে তিনিই প্রথম জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন জামালপুর মহকুমা শাখার সহ-সভাপতি এবং একই সময়কালে তিনি দেওয়ানগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।