অপহরণের ৯ ঘন্টা পর অপহৃতা বন্যা খাতুনকে ৩০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের মানিকের চর মোল্লাবাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে জামালপুর সদর থানা পুলিশ ও বারুয়ামারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। একই দিন সকালে জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা এলাকা থেকে ওই নারীকে অপহরণ করে তার সাবেক স্বামী ও সহযোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ অক্টোবর সকালে জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা বাজারের মানহা তালুকদার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে বন্যা খাতুনকে জোরপূর্বক অপহরণ করে তার সাবেক স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার সহযোগীরা।
ঘটনার পর অপহরণের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফুটেজটিতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কিছুক্ষণ পর কালো বোরকা পরিহিত নারী বন্যা খাতুন সাদা মাইক্রোবাসটি অতিক্রম করছিলেন। এ সময় সময় তার গতি রোধ করেন দুই ব্যক্তি। তাদের কথোপকথনের একপর্যায়ে মাইক্রোবাস থেকে একজন দ্রুতগতিতে নেমে গিয়ে বন্যা খাতুনকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান।
এরপর থেকে অপহরণের ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অপহৃত ওই নারীর বাবা চান মিয়া বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নয় ঘন্টা পর অপহৃতা বন্যা খাতুনকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের মানিকের চর মোল্লাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে।
এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুস সাকিব এ প্রতিবেদককে বলেন, অপহরণের ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। জামালপুর সদর থানা পুলিশ ও বারুয়ামারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের যৌথ একটি দল অভিযান চালিয়ে অপহৃত নারীকে জীবিত উদ্ধার করে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখনও আটক করা যায়নি। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আসমাউল আসিফ : নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম 

















